ধানক্ষেতের পোকা দমনে পার্চিং পদ্ধতি

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-০৪-২৬ ১৪:১৭:০৩


চলতি বোরো মৌসুমে জয়পুরহাটের কৃষকরা ধানক্ষেতের পোকামাকড় দমনে কীটনাশক ব্যবহারের পরিবর্তে এখন লাইফ পার্চিং ও ডেথ পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। দিন দিন জেলায় এ পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জেলার কৃষকরা কীটনাশকের পরিবর্তে বৈজ্ঞানিক এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে ব্যাপক সুফল পাচ্ছেন। এতে একদিকে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমছে, অন্যদিকে ক্ষেতে রোগবালাই কম হওয়ায় বাম্পার ফলনের সম্ভবনাও উঁকি দিচ্ছে।

এ ব্যাপারে জয়পুরহাট জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলাসহ জেলার আক্কেলপুর, ক্ষেতলাল, পাঁচবিবি ও কালাই উপজেলার ৬৭ হাজার ৫২৮ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪৫ ভাগ জমিতেই পোকামাকড় দমনে কীটনাশকের পরিবর্তে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার শুরু হয়েছে। লাইফ পার্চিং পদ্ধতির জন্য কৃষকরা বিঘাপ্রতি জমিতে ৮-১০টি ধনচে গাছ এবং ডেথ পার্চিংয়ের জন্য প্রতি বিঘা জমিতে ৮-১০টি মরা ডাল পুঁতে পাখি বসার ব্যবস্থা করে দেন। ঝামেলামুক্ত এ পার্চিং পদ্ধতি প্রয়োগে স্থানীয় কৃষকরা সুফল পাচ্ছেন। ধনচে গাছ দ্রুত বর্ধনশীল হওয়ায় এর ডালে বসে পাখি সহজেই ধানের মাজরা, ফুতি পোকাসহ ক্ষতিকর পোকাগুলো খেয়ে ফেলে। এতে পোকার বংশ বিস্তার রোধ হয়। অধিকন্তু, ধনচে গাছ জমিতে নাইট্রোজেন সরবরাহ করে জমির উর্বরতা বাড়ায়। ডেথ পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করেও ক্ষেতে রোগবালাই মুক্ত রাখা যায়। ডেথ পার্চিং ও লাইফ পার্চিং দুটোই জৈবিক বালাই দমন পদ্ধতি হওয়ায় জমিতে তেমন কোনো কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। এসব পদ্ধতি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও সহায়ক।

সানবিডি/এনজে