সোনাগাজী উপজেলায় তরমুজের বাম্পার ফলন ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-০৪-২৭ ১৪:০২:৩৮


এবার ফেনী সোনাগাজী উপজেলার চরাঞ্চলে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে ছোট ও মাঝারি সাইজের কালচে ও সাদা তামাটে যে তরমুজটি দেখা যায় তা এ এলাকার। এটি সকল ধরনের ফরমালিন বা কেমিকেল মুক্ত সুস্বাদু ফল। উর্বর পলি দোআশ মাটির গুণে এর স্বাদ বেশী। ফলে সারা দেশে এর চাহিদাও বেশি।

মোকামে আসার সাথে সাথে পাইকাররা অন্য এলাকার বড় তরমুজ বাদ দিয়ে সোনাগাজীর এ ছোট ও মাঝারি সাইজের তরমুজ হুড়োহুড়ি করে কিনে। তরমুজ চাষ করে অনেকে লাভবান হলেও অনেক চাষী লোকসান গুনেছে। এর পিছনে রয়েছে নানা কারণ। তাই ঐ এলাকায় তরমুজ চাষে স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের নিকট কিছু করণীয় তুলে ধরা হলো।

যে কয়েকটি বিষয়ে আগামীতে নজর দিতে হবে:

(১) তরমুজ চোরদের প্রতিরোধ করতে হবে। এক ইঞ্চি জমিতেও তরমুজ চাষ করে না কিন্তু প্রতিদিন সকালে তাদের বাড়ি হতে পাইকাররা তরমুজ কিনে। এ তরমুজ রাতে চুরি করে সংঘবদ্ধ তরমুজ চোর । এদের প্রতিহত করতে হবে।

(২) পুলিশকে অভিযোগ দিলে মাঝে মধ্যে ঘুরে আসে। এ জন্য রাত্রি কালীন টহল বাড়াতে হবে তরমুজ চাষ এলাকায় ।

(৩) গরু ও মহিষের পাল রাতে ছেড়ে দেয় রাখালরা । ফলে এ বছর কয়েকজন তরমুজ চাষী সর্বশান্ত হয়ে গেছে। দেনাদারের ভয়ে তরমুজ ক্ষেত রেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

(৪) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর হতে প্রত্যেক তরমুজ চাষীর তালিকা করে তাদের আইনগত ও ঋণগত সুবিধা দিতে হবে। তরমুজ চাষীদের মসলা চাষীদের ন্যায় ২% সরল সুদের কৃষি ঋণ দেয়া উচিত।

(৫) সোনাগাজীর উপকূলীয় এলাকার মাটির ধরন অনুযায়ী ছোট ও কালো সাইজের তরমুজ এর স্বাদ বেশী বিধায় মোকামে এর চাহিদা বেশি।
ফলে এ ধরনের তরমুজ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। কারণ সাদা ও বড় সাইজের তরমুজ মিষ্টি কম বিধায় বাজারে এর চাহিদা কম।

(৬) স্থানীয় টাউট, বাটপার ও চিচকে চাঁদাবাজদের কবল হতে তরমুজ চাষিকে সুরক্ষার আওতায় আনতে হবে।

(৭) সর্বোপরি সোনাগাজীর উপকূলীয় চর এলাকায় তরমুজ চাষীরা বাইরের জেলা হতে জমি বন্ধকি নিয়ে চাষ করে বিধায় স্থানীয় কৃষক/ব্যক্তিদের লাভ নেই। তাই এ এলাকার লোকদের তরমুজ চাষে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

লেখক-
মোহাম্মদ আবদুল হাই পিএএ