দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা আর ভোগান্তির পর কাঙ্খিত টিকিট পেয়ে এবার ঘরে ফেরার পালা। কিন্তু এখানেও ভোগান্তি। কারণ বিলম্বে ছাড়ছে ট্রেন। কমলাপুর রেলস্টেশনে বেশকয়েকটি ট্রেন সঠিক সময়ে না ছেড়ে যাওয়ায় ঈদ যাত্রার দ্বিতীয় দিনেও ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ। আর দেরিতে ট্রেন ছাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
সোমবার সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে বেশ কয়েকটি ট্রেন নির্ধারিত সময়ের এক থেকে দুই ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে গেছে। এ বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, কয়েকটি ট্রেনের ২০ থেকে ৩০ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে। তবে এটি বিপর্যয় নয়, বিলম্ব। যেসব ট্রেন স্টেশনে আসতে দেরি হয়েছে সেইগুলোই বিলম্ব হয়েছে। তবে রেলের সার্বিক ব্যবস্থাপনা স্বাভাবিক রয়েছে।
দুই ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে যাওয়া চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী সম্পর্কে তিনি বলেন, ট্রেনটি স্টেশনে দেরিতে আসার কারণে ছাড়তে দেরি হয়েছে।
ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রী বেশি থাকায় কমলাপুর রেলস্টেশনে ভোড় থেকেই বাড়তে থাকে যাত্রীদের চাপ। এদিকে ট্রেন বিলম্বে ছাড়ার কারণে স্টেশনের যাত্রীদের বসে থাকতে দেখা গেছে।
খোঁজনিয়ে জানা গেছে, সোমবার সকালে মোট ৭টি ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হয়েছে। এর মধ্যে চারটি ট্রেন নির্ধারিত সময়ের এক থেকে দুই ঘণ্টা বেশি দেরি করেছে। চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেন ছাড়ার কথা সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে কিন্তু প্রায় দুই ঘণ্টা পর ৯টা ৩৫ মিনিটে ছেড়ে গেছে। অগ্রিবীনা ছাড়ার কথা সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে, ছেড়েছে ১০টায়। সকাল ৯টার রংপুর এক্সপ্রেস ছেড়েছে সাড়ে ৯টায়, কিশোরগঞ্জের ট্রেন ১০টা ২০ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও ৫৫ মিনিট দেরিতে ১১টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে গেছে। এছাড়া ১০টা ৪০ মিনিটের বলাকা ট্রেন ছেড়েছে ১১টা ২০ মিনিটে।
কিশোরগঞ্জগামী যাত্রী সালাম জাগো নিউজকে বলেন, দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোগান্তি আর অপেক্ষার পর টিকিট পেয়েছি। তাহলে ট্রেন ছাড়তে দেরি কেন?
চট্টগ্রামগামী যাত্রী মাহিন জানায়, চট্টলা এক্সপ্রেস এর টিকিট কেটেছি গ্রামে যাবো। সকাল ১০টায় স্টেশনে এসেছি। ট্রেন ১১টায় ছাড়ার কথা কিন্তু এখনো আসেনি, আর ছাড়বে কখন তার কোনো ঠিক নেই।