ভারতের করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা লেগেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেটেও। সোমবার খবর এসেছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুই খেলোয়াড় এবং চেন্নাই সুপার কিংসের তিন সদস্য।
এদিকে নিজ নিজ রুমে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে দিল্লি ক্যাপিট্যালসের খেলোয়াড়দের।
শুধু তাই নয়, মঙ্গলবার মাঠে নামার কথা থাকলেও, করোনার কারণে সোমবার অনুশীলন করেনি মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের খেলোয়াড়রা। এমতাবস্থায় ক্রিকেটার ও সকলের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে বিশেষজ্ঞ মহল থেকে বলা হচ্ছে, আইপিএল স্থগিত করে দেয়ার কথা।
তবে আপাতত সে চিন্তা নেই আইপিএল আয়োজকদের। তারা বরং ঝুঁকি কমানোর জন্য এক শহরেই আইপিএলের বাকিসব ম্যাচ আয়োজনের কথা ভাবছেন। সবকিছু পরিকল্পনা মোতাবেক এগুলে, আগামী রোববার থেকে আইপিএলের একমাত্র আয়োজক শহর থাকবে মুম্বাই।
চলতি আসরে ছয়টি শহরকে বেছে নেয়া হয়েছে আইপিএলের আয়োজক হিসেবে। এখন চলছে দিল্লি ও আহমেদাবাদ পর্ব। এরপর রয়েছে ব্যাঙ্গালুরু ও কলকাতা পর্ব। আর সবশেষ প্লে-অফের চার ম্যাচের জন্য ভেন্যু হিসেবে নির্ধারণ করা আছে আহমেদাবাদকে।
এবার আইপিএলেও করোনার হানা দেখা দেয়ায়, পূর্বপরিকল্পিত এই সূচি থেকে সরতে চলেছেন আয়োজকরা। সবাইকে মুম্বাইয়ে রেখে আইপিএল শেষ করার কথা ভাবা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অবশ্য বড় একটি চ্যালেঞ্জও জিততে হবে তাদের। আর তা হলো জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরির মতো যথেষ্ঠ হোটেল পাওয়া।
মাঠ বিবেচনায় সমস্যা হবে না মুম্বাইয়ে খেলা চালাতে। কেননা এখানে রয়েছে তিনটি আন্তর্জাতিক মানের ভেন্যু। চলতি আইপিএলের প্রথম অংশেই খেলা হয়েছে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে।
এছাড়া ব্যবহৃত হয়েছে ব্রাবোর্ন এবং ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামও। তাই হোটেল সমস্যা দূরীকরণের দিকেই মনোযোগ আয়োজকদের।
সেলক্ষ্যে এরই মধ্যে মুম্বাইয়ে বেশ কিছু বড় বড় হোটেলে খোঁজ করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, করোনাভাইরাসের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বায়ো বাবল তৈরি করতে পারবে কি না। এ বিষয়ে অবশ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।