বাংলাদেশ ব্যাংক ২০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ দেবে

প্রকাশ: ২০১৬-০১-১২ ১৫:০৭:০৭


green-finance-1-638চামড়া ও পোশাক শিল্পে যেসব প্রতিষ্ঠান গ্রিন প্রোডাক্ট তৈরি করছে তাদেরকে খুব শিগগির ২০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান। যেকোনো সময় এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান তিনি।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘গ্রিন ফিন্যান্স ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর এ কথা বলেন। টেকসই উন্নয়নে সবুজ অর্থায়নের গুরুত্ব তুলে ধরতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউয়েবেল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশন (বিএসআরআইএ)।

গভর্নর বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে ইতোমধ্যে নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই অবস্থানকে সুদৃঢ় ও টেকসই করতে হলে আরও ব্র্যান্ডিং করতে হবে। এক্ষেত্রে গ্রিন প্রোডাক্টের বিকল্প নেই। গার্মেন্টসের সবুজ বস্ত্র ও চামড়ার পণ্য উৎপাদন করে সারাবিশ্বকে জানাতে চাই, জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হয়েও তা মোকাবেলায় নিজেদের অর্থায়নে সবুজ পণ্য তৈরি করছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, গ্রিন প্রোডাক্ট তৈরিতে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য খাতেও অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া হবে। রিজার্ভ থেকে ইতোমধ্যে ২০০ মিলিয়ন ডলারে সমপরিমাণ অর্থ আলাদা করে রাখা হয়েছে। এ তহবিল থেকে অত্যন্ত স্বল্প সুদে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ দেওয়া হবে। প্রয়োজনে অর্থের পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে।

জলবায়ু মোকাবেলায় যেসব পণ্য দরকার সে সব পণ্যে তৈরিতে শুল্কমুক্ত সুবিধাসহ অন্যান্য সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ড. আতিউর রহমান।

ডিজিটালাইজেশনকে সবচেয় বড় গ্রিন প্রোডাক্ট বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দাপ্তরিকসহ সব কাজে যত বেশি ডিজিটালাইজড ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা সম্ভব হবে- কাগজসহ অন্যন্য প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় তত কম হবে। ফলে স্বল্প সম্পদ ব্যবহার করে অনেক বেশি উৎপাদন করতে পারব।

রপ্তানি খাতকে দেশের অন্যতম একটি উন্নয়ন ইঞ্জিন হিসেবে উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, এখন আরেকটি ইঞ্জিন আমাদের চালু করতে হবে। তা হলো- অভ্যন্তরীন চাহিদা। এটি নিশ্চিত করতে পারলেই প্রবৃদ্ধির দৌড়ে বাংলাদেশ সামনের সারির ২-৩টি দেশের তালিকায় চলে যাবে।

তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক আশাবাদে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। আমরা মানুষের মধ্যে একটি ভরসার পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। এখন আমাদের কাজ এটিকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া। এতে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যলয়ের অধ্যাপক ড. মিজান আর. খান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস.কে. সুর চৌধুরী, সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউয়েবেল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (স্রেডা) চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম শিকদার প্রমুখ।

সানবিডি/ঢাকা/আহো