কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত দেশের প্রাচীন সংবাদপত্র সাপ্তাহিক আমোদ নিরবিচ্ছিন্ন প্রকাশনার ৬৭বছরে পদার্পণ করেছে। বুধবার আমোদ পত্রিকার ৬৭তম বর্ষে পর্দাপন।
আমোদ সূত্র জানায়, ১৯৫৫ সালের ৫মে থেকে কুমিল্লায় মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী ‘আমোদ’ পত্রিকার প্রকাশনা শুরু করেন। আমোদ ছিলো পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম ক্রীড়া সাপ্তাহিক। পরে তা সাধারণ সংবাদ পত্রে পরিণত হয়। প্রথম সংখ্যাটির মূল্য ছিলো এক আনা। বয়সের দিক দিয়ে সংবাদ,ইত্তেফাক ও অবজারভারের পরে আমোদ-এর অবস্থান।
বুধবার ৫ মে আমোদ তার নিয়মিত প্রকাশনার ৬৭ বছরে পদার্পণ করেছে। ১৯৯৪ সালের ২৮ নভেম্বর মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী মৃত্যুবরণ করেন। এরপর আমোদ প্রকাশনার দায়িত্ব নেন তার সহধর্মিনী শামসুন নাহার রাব্বী ও ছেলে বাকীন রাব্বী। বৃহত্তর কুমিল্লা তথা বাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর এবং তার আশে পাশের এলাকায় এখন যে সংবাদপত্রের বিকাশ দেখা যায় তার উৎস ‘আমোদ’। এ অঞ্চলে যারা সাহিত্যসেবী হিসেবে সুপরিচিত তারাও আমোদ-এ লিখে হাত পাকিয়েছেন। প্রথম দিকে বৃহত্তর নোয়াখালী ও সিলেটে আমোদ এর সার্কুলেশন ছিলো।
আঞ্চলিক সংবাদপত্র হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভ‚মিকা রাখার কারণে আমোদ তার যোগ্য স্বীকৃতিও পেয়েছে। জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন ইউনেস্কো এশিয়ার পাঁচটি সেরা আঞ্চলিক পত্রিকার একটি হিসেবে আমোদ স্বীকৃতি লাভ করে।
কুমিল্লার প্রবীণ সাংবাদিক খায়রুল আহসান মানিক বলেন,গত ৬৭ বছর কুমিল্লা ও আমোদ হাত ধরাধরি করে চলেছে। আমোদ কুমিল্লার শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে ব্যাপক অবদান রেখেছে।
সাপ্তাহিক আমোদ পত্রিকার বর্তমান ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মহিউদ্দিন মোল্লা বলেন, কুমিল্লার ঐতিহ্য খাদি, রসমালাই ও সাপ্তাহিক আমোদ। আমোদ কুমিল্লার অহংকার। করোনার কারণে এ বছর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন হবে না। ৬৭ বছর পদার্পণে আমোদ পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই শুভেচ্ছা।
আমোদ সম্পাদক বাকীন রাব্বী বলেন, তেমনি আমরা প্রতি বৃহস্পতিবার সকালে আমোদ পত্রিকা ছাপা হওয়ার পর হাফ ছেড়ে বলি- আরেকটি সপ্তাহ পত্রিকা প্রকাশ করতে পারলাম। পেশা ও নেশার সাথে সংবাদপত্র প্রকাশনা আমাদের নিকট ইবাদতের মতো। মানুষের ভালোবাসার কারণে এ দীর্ঘ সময়ের পথ পাড়ি দিতে পেরেছি।