বগুড়ায় হলুদ তরমুজ চাষে সাড়া ফেলেছে আব্দুস সালাম
জেলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ২০২১-০৫-০৫ ১৮:১৮:১৪
গরমের সময় শরীরে পানি শূন্যতা রোধ করতে এমনিতেই তরমুজের জুরি নেই, সেখানে নতুন জাতের তরমুজ দেখে লোকজন হুমরি খেয়ে পরছেন। হলুদ তরমুজের ওপরে গায়ের রং হলুদ হলেও ভেতরে একদম অন্যসব তরমুজের মতো লাল এবং স্বাদও অনেক বেশি।
রাস্তার পাশে তরমুজ ক্ষেত হওয়ায় প্রতিদিনই শত শত লোকজন দেখতে আসছেন এবং তরমুজ ক্রয় করার আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর বড়ইদহ গ্রামের পেশায় শিক্ষক হওয়ার পরও একজন কৃষি প্রেমি হাইস্কুল শিক্ষক আব্দুস সালাম রসালো ফল ‘হলুদ জাতেরথ ও কালো জাতের তরমুজ চাষ করে এলাকায় কৃষকের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আব্দুস সালাম বলেন, এবার তরমুজের ফেলন ভালো হয়েছে, আশা করছি অনেক বেশী লাভবান হব।
প্রায় আড়াই বিঘা জমিতে উন্নত জাতের তিপ্তি, ব্লাক বেবি ও ব্লাক সুইট তরমুজ চাষ করে তিনি। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে পলি মাটিতে লাগানো চারা রোপন করেন। ফল আসার আগেই গাছগুলোকে বাঁশের মাচায় উঠিয়ে দেয়া হয়।
তরমুজ চাষী আব্দুস সালাম আরও জানান, বিভিন্ন ধারনের ফলের বাগান আছে তার, মালটা, পেয়ারা, ভিয়েতনাম নারিকেলসহ অন্যন্যা তবে নতুন জাতের এই তরমুজ চাষ করে তিনি উৎসাহী, শেরপুরে তিনিই প্রথম মাচায় তরমুজ চাষ করে সফল। গত বছর করোনা কালীন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকায় ইউটিউব দেখে মাচায় তরমুজ চাষ করে, পর্যাপ্ত পরিমান ফল আসলেও তরমুজ বিক্রির সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে লোকশান গুনতে হয়েছে।
আব্দুস সালাম আরো জানান, শুরু থেকে জমিতে জৈবসার, অন্যান্য সার প্রয়োগের পর বেড তৈরি করে পুরো বেড পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিয়ে গাছ রোপণ করেছেন। বর্তমানে এই ফল গুলির বয়স এখন ৪৬ দিন। এরই মধ্যে ফল গুলোতে নেটিং ব্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে। এই ফল গুলি ৬০ দিনের মাথায় প্রায় ৩/৪ কেজি ওজন হলে পরিপক্ক হবে এবং তা বাজার জাত করার উপযোগী হবে। আড়াই বিঘা জমিতে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ করেছে এবং সেখান থেকে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার তরমুজ বিক্রয় করবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসলে লাভবান হবে।
উদ্ভিদ সংরক্ষন অফিসার মো: মাসুদ আলম তিনি জানান, নতুন জাতের ফসল হিসেব আমরা কৃষকের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখছি ও পরামর্শ প্রদান করিছ। যেন কোন রোগ বালাই আক্রমণ না করে। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা রাজিয়া সুলতানা বলেন, উপজেলায় এবার প্রায় নতুন ফসল হিসেবে ২ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।
কিন্তু হলুদ জাতের তরমুজ এই প্রথম চাষ করেছেন আব্দুস সালাম। আমরা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করছি এবং কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি। আসা করছি আগামী বছর এই জাতের তরমুজ চাষ আরো বাড়বে এবং কৃষক অধিক লাভবান হবেন।