মা হওয়ার পর অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন। আগামী গ্রীষ্মে বিয়ের পরিকল্পনা করছেন তিনি। তবে বিয়ের দিনক্ষণ সম্পর্কে কিছু জানাননি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যসের বুধবারের প্রতিবেদেনে এ খবর জানানো হয়েছে।
জেসিন্ডা আর্ডার্ন বুধবার স্থানীয় কোস্ট রেডিওকে বলেন, তিনি এবং তার সঙ্গী টেলিভিশন উপস্থাপক ক্লার্ক গেফোর্ড ‘অবশেষে বিয়ের জন্য একটি তারিখ পেয়েছেন’। বুধবারের প্রতিবেদনে আর্ডানের বিয়ের খবরটি জানায় দেশটির জাতীয় দৈনিক নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড।
প্রতিবেদনে অনুযায়ী জেসিন্ডা আর্ডার্ন বলেছেন, ‘তার মানে এটা নয় যে, আমরা এখনও বিষয়টি কাউকে জানিয়েছি। তাই আমি ভাবছি আমাদের সম্ভবত কিছু মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো উচিত।’ অবশ্য ঘটা করে বিয়ে না করার ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।
রেডিও সাক্ষাৎকারের বরাতে দ্য নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের করা প্রতিবেদন অনুযায়ী আর্ডার্ন বলেছেন, ‘ব্রাইডাল পার্টি করার মতো বয়সের চেয়ে খানিকটা বেশি বয়স হয়ে গেছে বলেই মনে হয় আমার।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের ৪০ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা ২০১৯ সালে ইস্টারের ছুটির সময় ৪৪ বছর বয়সী গেফোর্ডের সঙ্গে বাগদান সেরেছিলেন। ওই জুটির দুই বছর বয়সী এক কন্যাসন্তানও রয়েছে।
দক্ষিণ গোলার্ধে সাধারণত ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি এ তিন মাস গ্রীষ্মকাল। এরমধ্যে ইস্টারে ছুটি শুরু হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, জেসিন্ডা আর্ডানের ঘোষণা অনুযায়ী এই সময়ের মধ্যে তার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পক্ষে এ বিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আজ সকালের প্রতিবেদনে যা জানানো হয়েছে তার সঙ্গে নতুন করে যোগ করার মতো কিছু নেই।’
২০১৭ সালে দেশের ইতিহাসে সব কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী হন জেসিন্ডা আডার্ন। পরের বছর তার কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। আডার্নের আগে কেবল পাকিস্তানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোই প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে মা হয়েছিলেন।
সানবিডি/এএ