বাংলাদেশ সরকার করোনার সঙ্কট উত্তরণ এবং জরুরি প্রয়োজন মেটাতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উৎপাদিত ৪০ লাখ ডোজ করোনা টিকা চেয়েছে। এ অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার জানিয়েছেন, টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে তার দেশ ‘আন্তরিকভাবে’ কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করে এ কথা জানান মিলার। পরে বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা চিঠি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জরুরিভিত্তিতে ৪০ লাখ টিকা চেয়েছি। যাতে আমাদের যাদের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া বাকি আছে, তাদের দেয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা জেনেছি, তাদের কাছে ৬০ মিলিয়নের মতো টিকা পড়ে আছে। আমরা আমাদের দেশে দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করতে তাদের কাছে জরুরিভিত্তিতে টিকা চেয়েছি। এমনিতে ১০ থেকে ২০ মিলিয়ন ডোজ টিকা চেয়েছি। বেশি বলতে তো সমস্যা নেই, যা পাওয়া যায়।
গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। তবে দুই চালানের পর আর টিকা সরবরাহ করতে পারেনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নতুন করে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া স্থগিত রেখেছে সরকার।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, যে টিকা এখন মজুত আছে তা দিয়ে প্রথম ডোজ গ্রহণকারী সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়াও সম্ভব হবে না।
এমন পরিস্থিতিতে সরকার চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা আনার জোড় প্রচেষ্টা শুরু করেছে। তবে যারা প্রথম ডোজ হিসেবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে ওই টিকার বিকল্প নেই।
এদিকে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৬ কোটি ডোজ টিকা বিভিন্ন দেশে পাঠাবে বলে গত মাসের শেষদিকে ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
সঙ্কটে দেখা দেয়ায় বাংলাদেশ এখন সেখান থেকে কিছু টিকা চাইছে।
টিকার প্রতিশ্রুতি মিলেছে কি-না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, সঠিক দিনক্ষণ দেয়া যাবে না। কিন্তু এ নিয়ে তারা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। আমরা বলেছি, আপনারা যখন ভারত বা অন্য দেশে টিকা দেবেন, তার আগে আমাদের দেবেন। আমাদের জরুরি ভিত্তিতে দরকার।’