স্বর্ণ দ্বীপে ছাদ বাগানে সফলতা

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০২১-০৫-০৭ ১১:৫৫:২০


রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাসিন্দা দম্পতি আব্দুর রশিদ ও স্বপ্না। নিজ বাসার ছাদে গড়ে তুলেছেন বাগান। সবজি, ফলদ ও ফুল সহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে বাগানে। বেশিরভাগ সময় কাটে ছাদ কৃষিতে। বাগানে উৎপাদিত ফল ও সবজি একদিকে যেমন নিজেদের চাহিদা মেটায়, অপরদিকে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীর মাঝেও বিতরণ করছেন। তাদের ছাদ কৃষি দেখে অনেকেই উৎসাহী হয়ে উঠছেন।

উপজেলা সদরের আবাসিক এলাকায় স্বর্ণ দ্বীপ নামে তাদের বাড়িটিতে দুই বছর আগে ছাদ বাগান করেন। ২২০০ স্কয়ারফিটের ছাদে শুরুর দিকে অল্প কিছু ফলের গাছ দিয়ে শুরু করেন। বর্তমানে বাগানে ১১০ জাতের ফলজ, ঔষধি, ফুল এবং সবজি গাছ রয়েছে। ছাদজুড়েই রয়েছে কয়েক প্রজাতির আম, কাঁঠাল, লিচু, কমলা, মাল্টা, রামবুটান, কলা, ড্রাগন বেনানা মেঙ্গো, সূর্য ডিম, আমরা, আমলকী, জামরুল, লঙ্গন, কাটিমন ফলের গাছ। রয়েছে টুনিমানকুনি, অ্যালোভেরা, রাসুন্ডার মতো ঔষধি গাছও।

এই দম্পতি জানান, ছাদ কৃষিতে তেমন পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না। খরচও হয় সামান্য। তার এ বাগানে এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে প্রায় দুই লক্ষ টাকার মতো। বাগান থেকে উৎপাদিত ফল ও সবজি নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীকে বিতরণ করেছেন।

স্বর্ণ দ্বীপের এই ছাদ বাগানে রয়েছে থাই কাটিমন জাতের আম গাছ। এ গাছ থেকে বারোমাস আম পাওয়া যায়। রয়েছে বছরে দুইবার ফল দেওয়া ইন্ডিয়ান দু’ফলা আম গাছ, থাই কাঁঠাল, আফ্রিকার কালো জাতের কিউজাই আম গাছ।

এসব গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকেন রশিদ ও স্বপ্না। তারা দুজনেই একটি বেসরকারি ইন্সুইরেন্স কোম্পানীতে চাকরি করেন। তারা ছাড়াও পরিবারের অন্যরাও বাগান পরিচর্যায় সময় দেন।

তাদের ছাদ কৃষি দেখে অনেকই উৎসাহী হচ্ছেন। পরামর্শ নিচ্ছেন কিভাবে নিজ নিজ ছাদে গড়ে তুলবেন বাগান। যাতে নিজ হাতে তৈরি বাগান থেকে পরিবারের ফল ও সবজির চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার বলেন, ‘রশিদ ও স্বপ্না ছাদে বিভিন্ন জাতের ফুল, সবজি ও গাছের চারা দিয়ে অসাধারণ বাগান করেছেন। আমি মনে করি, তারা আগ্রহী কৃষক-কৃষাণী। তারা দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি, ফল, ঔষধি গাছ চাষ ও পরিচর্যা করেন। তাদের মতো যদি অন্যরাও ছাদগুলো ফেলে না রেখে সবজি অথবা ফলের বাগান করেন; তারাও লাভবান হতে পারবেন।’