বসুন্ধরা কিংসের ৪৫ জনের সবাই নেগেটিভ। ফুটবলার কোচিং স্টাফ সবাই বিমানব্দরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঠিক তখনই এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন থেকে সংবাদ, ‘এএফসি কাপ স্থগিত।’
বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান এমন আকস্মিক সিদ্ধান্তে হতবাক, ‘কিছুক্ষণ আগেও মালদ্বীপের সঙ্গে কথা হলো। তারা বলছিলেন কখন ফ্লাইট। আমরা বিমানবন্দরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এরই মধ্যে এএফসি জানাল খেলা স্থগিত।’ ১৪-২০ মে মালদ্বীপের মালেতে হওয়ার কথা ছিল এএফসি কাপের দক্ষিণ এশিয়ান জোনের খেলা। সেই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে আজ সন্ধ্যা ছয়টা ফ্লাইটে উঠার কথা কিংসের ফুটবলারদের। খেলা আপাতত স্থগিত করলেও পরে কখন, কোথায় হবে এই ব্যাপারে এএফসি কিছু জানায়নি।
মালদ্বীপ সরকার খেলা আয়োজন না করতে মালদ্বীপ ফুটবল ফেডারেশনকে অনুরোধ জানিয়েছি। এর মধ্যে বড় বিপত্তি বাধিয়েছে প্লে অফ খেলতে যাওয়া ভারতের ক্লাব ব্যাঙ্গালুরু। মালদ্বীপের স্থানীয় গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী তারা মালদ্বীপের স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করেছে। এতে বড় বিপাকে পড়েছে মালদ্বীপ ফুটবল ফেডারেশন। মালদ্বীপের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহমেদ মারুফ এই বিষয়টি নিয়ে গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন।
মালদ্বীপ সরকারের সিদ্ধান্ত এএফসিকে জানিয়ে নিজেদের অপারগতা প্রকাশ করে মালদ্বীপ ফুটবল ফেডারেশন। মোহনবাগান, বসুন্ধরা কিংসের ফ্লাইট সূচি, হোটেল সব ঠিক ছিল। এএফসি চাইছিল টুর্নামেন্ট চালিয়ে যেতে। কিন্তু সর্বশেষ মালদ্বীপ সরকারের কড়া অবস্থান এবং মালদ্বীপ ফুটবল ফেডারেশনের অপারগতা টুর্নামেন্ট স্থগিত করতে বাধ্য হয় এএফসি।
মোহনবাগান আগে থেকেই টুর্নামেন্ট স্থগিতের আবেদন জানিয়ে আসছিল। তাদের বিদেশি ফুটবলার, কোচের কোয়ারেন্টিন ইস্যু ছাড়াও লোকাল অনেকে করোনায় আক্রান্ত ছিল। এর পরেও তারা ১০ মে ফ্লাইটের টিকিট কেটেছিল। মোহনবাগানের সাধারণ সম্পাদক ভিনয় পান্ডে বলেন, ‘মালদ্বীপ ও এএফসি’র চিঠি আমরা পেয়েছি কিছুক্ষণ আগে। সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে এটা মেনে নিতে হবে।’ ব্যাঙ্গালুরুকে না খেলেই ফিরে আসতে হবে ভারতে। ব্যাঙ্গালুরু, কিংস ও মোহনবাগানকে এএফসি কি পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেবে এই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
উল্লেখ্য, গত বছর করোনা ভাইরাসের জন্য এএফসি কাপ বাতিল হয়। এই বছর এজন্য গ্রুপের খেলা কেন্দ্রীয় ভেন্যুতে করার সিদ্ধান্ত নেয় এএফসি। এরপরও ইস্ট ও সাউথ জোনের খেলা স্থগিত করতে বাধ্য হলো।