সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানের জয় ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। তবু চতুর্থ দিন অপেক্ষা ছিল শাহিন শাহ আফ্রিদির ৫ উইকেট পূরণের। পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১ উইকেট, শাহিনের ফাইফারের জন্য দরকার ছিল ১টিই উইকেট।
ফলে জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেটটি শাহিন নিতে পারেন কি না? তা নিয়েই ছিল উত্তেজনা। শেষ পর্যন্ত দিনের পঞ্চম ওভারের শেষ বলে লুক জঙউইকে কট বিহাইন্ডে পরিণত করে নিজের ফাইফার পূরণ করেছেন শাহিন। টেস্ট ক্রিকেটে তরুণ বাঁহাতি পেসারের দ্বিতীয় ৫ উইকেট এটি।
আগেরদিন ৯ উইকেটে ২২০ রান নিয়ে খেলা শেষ করেছিল জিম্বাবুয়ে। ইনিংস পরাজয় এড়াতে ১ উইকেট হাতে নিয়ে তাদের করতে হতো ১৫৮ রান। সেই মিশনে আজ ১১ রান করতেই অলআউট হয়েছে তারা। ফলে পাকিস্তান পেয়েছে ইনিংস ও ১৪৭ রানের জয়। সিরিজ জিতেছে ২-০ ব্যবধানে।
শাহিনের এই ম্যাচ জেতানো ফাইফারের মাধ্যমে ইতিহাস গড়েছে পাকিস্তান। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একই ম্যাচে তিনজন বোলারের ফাইফারের নজির গড়ল তারা। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন হাসান আলি। দ্বিতীয় ইনিংসে শাহিন ছাড়াও ফাইফার পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার নোমান আলি।
প্রায় দেড়শ বছরের টেস্ট ইতিহাসে মাত্র ছয়বার একই ম্যাচে কোনো দলের তিন বোলার ফাইফার নিতে পেরেছেন। সবশেষ ১৯৯৩ সালে এমন ঘটনা দেখেছিল টেস্ট ক্রিকেট। প্রায় ২৮ বছর পর এ তালিকায় নাম তুললো পাকিস্তান ক্রিকেট দল।
জিম্বাবুয়েকে গুঁড়িয়ে দিয়ে সিরিজ জেতার পথে দ্বিতীয় ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন আবিদ আলি। ম্যাচের একমাত্র ইনিংসে ২১৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন তিনি। এছাড়া দুই ম্যাচে দুইটি ফাইফার নিয়ে সিরিজসেরার পুরস্কার জিতেছেন হাসান আলি।