সিডনিতে পুলিশ সদর দফতরের সামনে গুলির ঘটনা একটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল।
শনিবার (০৩ অক্টোবর) তিনি এ মন্তব্য করেন। ১৫ বছর বয়সী ওই বন্দুকধারী একজন সন্ত্রাসী উল্লেখ করে তিনি অস্ট্রেলিয়াবাসীকে নির্ভয়ে ঘরের বাইরে বের হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সব দেখেশুনে মনে হচ্ছে, এটি একটি রাজনৈতিক আক্রমণ। এই সন্ত্রাস অবশ্যই জঘণ্য।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞকে হত্যার এ ঘটনাকে ‘ঠাণ্ডা মাথার খুন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাত্র ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর এ ঘটনা ঘটিয়েছে শুনে আমি আরও আহত হয়েছি। আমাদের সচেতন হওয়ার এটাই সময়। পারিবারিক, গোষ্ঠী ও নেতৃত্ব পর্যায় থেকে আমাদের সচেতন হতে হবে। এটা সত্যিই হতাশার যে, আমাদের যুবসম্প্রদায় ‘মৌলবাদের’ দিকে ধাবিত হচ্ছে।
এদিকে, অস্ট্রেলীয় পুলিশ বলছে, বন্দুকধারী ওই কিশোরের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত খুব কম তথ্যই পাওয়া গেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশের কমিশনার অ্যান্ড্রিউ সিপিওনে বলেছেন, তদন্তকারীরা ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন থেকে এখনও অনেক দূরে রয়েছেন। কাজেই এই মুহূর্তে এ ব্যাপারে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, পুলিশের রেকর্ডে বন্দুকধারী ওই কিশোরের কোনো অপরাধমূলক ইতিহাস নেই।
শুক্রবার (০২ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে চারটার (বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টা) দিকে সিডনির পশ্চিমাঞ্চলে নিউ সাউথ ওয়েলসে অবস্থিত পুলিশ সদর দফতরের সামনে চার্লস স্ট্রিটে এক বেসামরিক প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞকে গুলি করে হত্যা করে ওই কিশোর। নিহত ব্যক্তি পুলিশের হয়ে কাজ করতেন। এ ঘটনায় পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে বন্দুকধারী কিশোরও নিহত হয়।
হামলা চালানো ওই কিশোর ইরাকের কুর্দিশ বংশোদ্ভূত বলে দাবি করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। গুলি চালানোর আগে সে ধর্মীয় স্লোগান দেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে খবরে।