ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর বিমান হামলা অব্যাহত রয়েছে। এসব হামলায় গত সোমবার থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত ১৩৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৯২০ জন। এর মধ্যে শুক্রবার (১৪ মে) হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। এসব হামলায় নিহতদের মধ্যে অনেক শিশু ও নারী রয়েছেন। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে আলজাজিরা।
শনিবারও (১৫ মে) গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলার পাশাপাশি পদাতিক বাহিনী হামলা চালিয়েছে। পাশাপাশি ফিলিস্তিনি ছিটমহলগুলো অবরুদ্ধ করতে সৈন্য ও ট্যাঙ্ক বৃদ্ধি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
সবশেষ নিহতদের মধ্যে গাজার শতী শরণার্থী শিবিরে হামলায় কমপক্ষে ছয় শিশু ও দুই নারী রয়েছেন। অনেকে ধ্বংস্তুপে পড়ে ছিলেন। এই হামলায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ছাড়া খান ইউনিসে একটি বাড়িতে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, অব্যাহতভাবে অপরাধমূলক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ফলে অন্তত ১০ হাজার ফিলিস্তিনি নিজেদের বাড়িঘর ছেড়েছে। ইসরায়েলি হামলা থেকে বাঁচতে হাজার হাজার নাগরিক গাজার উত্তরাঞ্চলে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন।
ফিলিস্তিনে হামলা বন্ধে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসসহ আন্তর্জাতিক মহলের আহ্বানের পরও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু পরিস্থিতি শান্ত রাখতে হামলা চলমান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
এদিকে শনিবার সকালে ইসরায়েল লক্ষ্য করে সিরিজ রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। তাদের রকেট ইসরায়েলের আশদোদ শহরে আঘাত হানে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত হামাসের হামলায় ইসরায়েলের কমপক্ষে নয়জন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলের সেনারা বলছেন, ইসরায়েলের বিভিন্ন এলাকা লক্ষ্য করে গাজা থেকে শত শত রকেট হামলা চালানো হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় তারা পশ্চিম তীরে ছিটমহলে হামলা চালিয়েছে।
সম্প্রতি পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি ও কট্টরপন্থী ইহুদিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে দফায় দফায় যাতে অধিকাংশই ফিলিস্তিনিরা আহত হন। ফিলিস্তিনিদের ওপর এসব হামলার জবাবে হামাস ইসরায়েলে রকেট হামলা চালায়। এরপর ইসরায়েল গাজায় ব্যাপকভাবে হামলা শুরু করে। এতে শিশু, নারীসহ প্রাণ হারান ১৩৭ জন।