ফাইজার-বায়োএনটেক এবং অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কভিড টিকার ১টি ডোজই সংক্রমণের হার কমাতে পারে অন্তত ৬৫ শতাংশ। আর যদি দুটো ডোজ দেওয়া হয় সংক্রমণের হার কমে ৯০ শতাংশ। এক গবেষণার ফলাফলে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রবীণ ও তরুণ দুই প্রজন্মের ক্ষেত্রেই এই দু’টি টিকা সমান কার্যকর। তবে এই দু’টি টিকার ১টি বা ২টি ডোজ নেওয়া থাকলে উপসর্গহীন রোগীদের থেকে সংক্রমণের হার যতটা কমে, তার চেয়ে অনেক বেশি কমে উপসর্গ থাকা কভিড রোগীদের থেকে সংক্রমণের হার। একই সঙ্গে সংক্রমিতদের পুনরায় সংক্রমণের হার।
যুক্তরাজ্যে সাড়ে ৩ লাখ করোনা রোগীর উপর এই গবেষণা চালানো হয়েছে। ফাইজার ও অক্সফোর্ডের টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার ২১ দিন পর সংক্রমণের হার দুই-তৃতীয়াংশ বা ৬৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। দু’টি টিকার প্রথম ডোজের ২১ দিন পর উপসর্গহীন রোগীদের ক্ষেত্রে সংক্রমণের হার কমেছে ৫৭ শতাংশ, সেখানে উপসর্গ থাকা রোগীদের থেকে সংক্রমণের হার কমেছে ৭২ শতাংশ।
ফাইজার টিকার দ্বিতীয় ডোজটি সংক্রমণের হার কমানোর ক্ষেত্রে আরও সফল হচ্ছে। ওই টিকার দ্বিতীয় ডোজের পর উপসর্গ থাকা রোগীদের থেকে সংক্রমণের হার কমছে ৯০ শতাংশ। আর উপসর্গহীন রোগীদের থেকে সংক্রমণের হার কমছে ৭০ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণের গতিতে দ্রুত রাশ টানতে যে এই দু’টি টিকার ১টি বা ২টি ডোজ খুব কার্যকর হতে পারে এই গবেষণায় তার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ভারতের মতো যে সব দেশে সংক্রমণের হার কমানো একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই গবেষণার ফলাফল সেই সব দেশের উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
গবেষণাটির সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক, অনেক বয়স্ক রোগীদের উপরেও গবেষণা চালানো হয়েছে।
সানবিডি/এএ