১০ জন নাবিককে দ্রুত মুক্তি দেওয়ায় ইরানকে ধন্যবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
উপসাগরীয় অঞ্চলে ইরানি জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ছোট টহল নৌযান থেকে ওই ১০ জন নাবিককে গত মঙ্গলবার আটক করে ইরান। টেলিফোনে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে আলাপের পর গতকাল বুধবার তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়।
আটক নাবিকদের মুক্তির ব্যাপারে সহযোগিতা করায় ও দ্রুত সাড়া দেওয়ায় ইরানি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।
তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের আলোচনার সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরির সঙ্গে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে নাবিকদের বিষয়টি মিটমাট করতে তাঁরাই এগিয়ে আসেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ক্ষমা চাওয়ার পর দেশটির নাবিকদের আন্তর্জাতিক জলসীমায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে মার্কিন ভাইস-প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দাবি করেছেন, টহল নৌযানে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছিল। এর জন্য ক্ষমা চাওয়ার কিছু নেই।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে ওবামা প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনয়ন-প্রত্যাশীরা।
তেহরানের কর্মকর্তাদের ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্রের টহল নৌযান দুটি ইরানের জলসীমায় প্রবেশ করেছিল। এরপর ইরানের প্রভাবশালী রেভল্যুশনারি গার্ডসের নৌবাহিনী তাদের আটক করে।
মার্কিন কর্মকর্তারা ইরানের ওই দাবি প্রত্যাখ্যান করেননি। তাঁদের ভাষ্য, কুয়েত থেকে বাহরাইন যাচ্ছিল ছোট নৌযান দুটি। এ সময় সম্ভবত এতে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার জানিয়েছে, তারা ঘটনাটির তদন্ত করছে।