ফিলিস্তিনের গাজায় আবাসিক এলাকায় দখলদার ইসরাইলের বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ৫২ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন বলে জাতিসংঘের এক হিসাবে উঠে এসেছে।
আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি মঙ্গলবার বলেছে, ইসরাইলি বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ৫২ হাজারের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। গাজা উপত্যকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেখানে প্রায় সাড়ে চারশ ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে ইসরাইলি হামলায়। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ইসরাইল যেভাবে ফিলিস্তিনের আবাসিক এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে, তা যুদ্ধাপরাধের শামিল।
যদিও ইসরাইল তা অস্বীকার করেছে। দেশটির সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, যাতে বেসামরিক নাগরিকদের হতাহত হওয়ার ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া যায়।
জাতিসংঘের অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্সের (ওসিএইচএ) মুখপাত্র ইয়েন্স লেয়ার্কে বলেন, গাজায় জাতিসংঘের পরিচালিত স্কুল রয়েছে ৫৮টি। এতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৪৭ হাজার ফিলিস্তিনি।
ইয়েন্স লেয়ার্কে বলেন, ইসরায়েলের বিমান হামলায় ১৩২টি ভবন ধ্বংস হয়েছে। এ ছাড়া ৩১৬টি ভবন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি হাসপাতাল ও নয়টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র রয়েছে। এই হামলার কারণে সুপেয় পানির সংকটে পড়েছেন প্রায় আড়াই লাখ গাজাবাসী।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, এবারের সংঘাতে এ পর্যন্ত ২২০ জন ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। এর মধ্যে শিশু কমপক্ষে ৬১টি আর নারী ৩৬ জন। আহত হয়েছেন দেড় হাজার ফিলিস্তিনি।
অন্যদিকে ইসরাইলের পক্ষে প্রাণহানি ১২ জনের। এর মধ্যে শিশু দুটি। ফিলিস্তিনে গত ৯ দিনে সবচেয়ে প্রাণহানি হয়েছে রোববার। ওই দিন অন্তত ৪২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এবারের এই সংঘাতকে বলা হচ্ছে ২০১৪ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত।
ইসরাইল বলছে, ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন হাজার রকেট ছুড়েছে। এ হামলার জবাবে ইসরাইল হামলায় প্রায় ১৩০ জন হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্য নিহত হয়েছেন ৩০ জন।
সানবিডি/এএ