দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে হয়রানি ইস্যুতে সাংবাদিক সমাজের প্রতি ধৈর্য ধারণ এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যেহেতু মামলা হয়েছে এবং বিষয়টি বিচারাধীন, তাই সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ন্যায়বিচার পাবেন।
সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের প্রতি কোনো অবিচার হলে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
বুধবার (১৯ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শেখ হাসিনার ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের চার দশকে মানবতার আলোকবর্তিকা দেশরত্ন শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা এবং চারটি হাসপাতালে চারটি হাই-ফ্লো নজেল ক্যানুলা ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে কাজ করা চারটি সংগঠনে শিক্ষাসহায়তা সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি সেখানে যুক্ত হন।
ঘটনার দিন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কেউ বিষয়টি সাংবাদিকদের ব্রিফ করলে এমন ‘ভুল বোঝাবুঝির’ সৃষ্টি না-ও হতে পারত বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
সোমবার (১৭ মে) বিকেল ৩টার দিকে রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার একান্ত সচিবের কক্ষে ফাইল থেকে ‘নথি সরানোর অভিযোগে’ তাকে সেখানে আটকে রাখা হয় এবং তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়। নিজের ওপর নির্যাতনেরও অভিযোগ তোলেন রোজিনা। একপর্যায়ে সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর সাড়ে ৮টার দিকে তাকে শাহবাগ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। রাতে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় চুরি ও অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে মামলা করা হয়।
মঙ্গলবার (১৮ মে) সকালে রোজিনাকে আদালতে তুলে পাঁচদিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। অন্যদিকে জামিন চান তার আইনজীবী। আদালত জামিন ও রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।