বরগুনার আমতলী উপজেলায় বেশির ভাগ গভীর নলকূপ অকেজো হয়ে পড়ায় সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলার অনেক মানুষ এখন অনিরাপদ উৎস থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করছেন। ফলে বাড়ছে বিভিন্ন রোগ-বালাই।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, একটি পৌরসভা ও উপজেলায় সাতটি ইউনিয়নের তিন লাখ মানুষের পানির জন্য ৩৭০০টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪০০টির মতো গভীর নলকূপ র্দীঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে।
সরকারের পলিসি অনুযায়ী ৫০ জন মানুষের জন্য একটি করে গভীর নলকূপ থাকার কথা থাকলেও উপজেলার আমতলী পৌরসভা, গুলিশাখালী, আঠারগাছিয়া, কুকুয়া, হলদিয়া, চাওড়া, আমতলী, আপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে প্রয়োজনীয় নলকূপ নেই। আর যেগুলো আছে তার অধিকাংশ অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এজন্য গ্রামাঞ্চলের মানুষেরা বাধ্য হয়ে পুকুরের পানি পান করছে।
অপরদিকে অনাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় গ্রামের বেশির ভাগ পুকুর শুকিয়ে যাওয়ায় ও গভীর নলকূপ থেকে পর্যাপ্ত পানি না ওঠায় সাময়িকভাবে এ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া সচল গভীর নলকূপের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত লবণ থাকায় সুপেয় পানির সংকটও বাড়ছে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ভুক্তভোগী গ্রাম এলাকার মানুষদের।
উপজেলার বেশ কজন ভুক্তভোগী জানায়, পানির অপ্রতুলতার কারণে তাদের দৈনন্দিন স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ব্যহত হচ্ছে। গ্রামের মানুষ এখন অনিরাপদ উৎস থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করছেন। ফলে ডায়েরিয়া আমাশয়সহ বাড়ছে বিভিন্ন রোগ-বালাই।
হলদিয়া ইউপি সদস্য মো. আব্দুস সালাম লিটন মোল্লা বলেন, গ্রামের অনেক নলকূপ অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামের মানুষ পুকুরের পানি পান করছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল মুনয়েম সাদ বলেন, বিশুদ্ধ পানির অভাবে গত এক মাসে আমতলী উপজেলায় ব্যাপকহারে ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছিল। যা নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়েছিল।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. তারিকুল ইসলাম উপজেলার অধিকাংশ গভীর নলকূপ অকেজো থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, অতিখরার কারণে পানির স্তর স্বাভাবিকের তূলনায় অনেক বেশি নেমে যায়। বৃষ্টি না হওয়াটাও এর অন্যতম কারণ। তিনি আরো বলেন, পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার পর অকেজো নলকূপগুলো মেরামত করা হবে।
সানবিডি/এএ