নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শনিবার সকালে কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী একটি অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে উল্টো পথে আসা একটি বেপরোয়াগতির ট্রাকের মুখোমুখি সংর্ঘষে দুইজন নিহত হয়েছেন।
এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও তিনজন। হতাহতরা সবাই অ্যাম্বুলেন্সের যাত্রী। সোনারগাঁওয়ের নয়াবড়ি এলাকায় অনন্ত গার্মেন্টসের সামনে শনিবার সকাল সাড়ে ৬টার এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পণ্যবাহী ট্রাকটি রহিম স্টিল মিলের সামনে ইউটার্ন থেকে উল্টোপথে মদনপুরের দিকে যেতে থাকে। একপর্যায়ে এটি নয়াবাড়ি এলাকায় অনন্ত গার্মেন্টসের সামনে ঢাকাগামী অ্যাম্বুলেন্সটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে অ্যাম্বুলেন্সটি দুমড়েমুচড়ে রাস্তার ওপর উল্টে পড়ে যায় ও ঘটনাস্থলেই রোগীর সঙ্গে আসা একজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরেকজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
আহত হয় রোগীসহ কমপক্ষে ৩ জন। কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ডিউটি অফিসার এএসআই আরিফ জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত ওই দুজনের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।
দুর্ঘটনার পর কাঁচপুর কিউট পল্লী এলাকা থেকে মহাসড়কের দুই প্রান্তে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ২ ঘণ্টাব্যাপী তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটের কবলে পড়ে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান মনির জানান, কুমিল্লার তিতাস উপজেলা এলাকা থেকে শনিবার ভোরে ছেড়ে আসা রোগীবাহী একটি অ্যাম্বুলেন্সের কাঁচপুর কিউট পল্লী এলাকায় অনন্ত গার্মেন্টসের সামনে উল্টো দিক দিয়ে আসা পণ্যবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে থাকা রোগীর স্বজন মো. হুমায়ুন (৪০) ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে ফারুক হোসেন (৩৫) নামের আরেকজন মারা যায়। রোগীসহ আহত হন কমপক্ষে ৩ জন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
নিহত মো. হুমায়ুনের বাড়ি কুমিল্লার তিতাস উপজেলার গোপালপুর সরকার বাড়ি এলাকায়। তার পিতার নাম জানু মোল্লা। নিহত ফারুক হোসেনের বাড়িও একই এলাকায়। তার পিতার নাম আব্দুস সালাম।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সটি উদ্ধার করেছে। এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।