তবে লেনদেন পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যাংকারদের বিকেল চারটা পর্যন্ত অফিসে থাকতে হবে।
রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন (ডিওেএস) নতুন নির্দেশনা দিয়ে সার্কুলার ইস্যু করেছে। নতুন সময়সীমা ছাড়া গেল ১৩ এপ্রিল জারি করা সার্কুলারের অন্যান্য নির্দেশনা বহাল থাকবে।
ওই নির্দেশনায় (১৩ এপ্রিল) বলা হয়েছিল, সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া নতুন সময়সীমা অনুযায়ী ব্যাংকিং কারযক্রম চলবে। বিধি-নিষেধ চলাকালে ব্যাংকের প্রধান কার্যলয়সহ অনুমোদিত সকল ডিলার (এডি) শাখা ও জেলা সদরে অবস্থিত ব্যাংকের সদর শাখা খোলা রাখতে হবে।
এছাড়া সিটি কর্পোরেশন এলাকার প্রতি দুই কিলোমিটারের মধ্যে একটি শাখা (এডি শাখা খোলা না থাকলে) খোলা রাখতে হবে। অন্যদিকে উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি ব্যাংকের একটি শাখা রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার খোলা রাখতে হবে।
এর বাইরে সমুদ্র, স্থল, বিমান বন্দর এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখা উপ-শাখা, বুথসমূহ সার্বক্ষণিক খোল থাকবে। তবে স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্দর, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনে যথাযথ ভুমিকা গ্রহণ করবেন।
সীমিত জনবল দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যাংকিং কারযক্রম চালু রাখাতে হবে। এছাড়া ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারি স্ব স্ব অফিসে আনা-নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টব্যাংক কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
তবে যেসব ব্যাংক নিজস্ব ব্যবস্থপনায় যাতায়াত নিশ্চিত করতে পারছে না তাদেরকে যাতায়াত ভাতা দিতে গেল ২২ এপ্রিল নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে, গ্রাহকদের হিসাবে সব ধরনের লেনদেন সুবিধা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমের ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন সকল লেনদেন সুবিধা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।
নগদ টাকার যাতে সংকট না হয় সেজন্য এটিএম বুথগুলোতে পরযাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছিল। পাশাপাশি বুথ থেকে দৈনিক টাকার তোলার সীমা ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করা হয়েছে। মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট পয়েন্ট যথেষ্ট পরিমাণে নগদ টাকা রাখাও নির্দেশনা দেয়া হয়।