বিশ্ব অর্থনীতি ফোরামের ৪৬তম বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে। চলতি জানুয়ারির ২০ তারিখ থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৩ তারিখ পর্যন্ত। বিশ্ব অর্থনৈতির কলাকৌশল নির্ধারণ এবং বাণিজ্য সমন্বয়ের লক্ষ্যে প্রতিবারের মত এবারের সম্মেলনেও সমাবেত হবেন বিশ্বের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা, প্রযুক্তিবিদ, রাজনীতিক এবং রাষ্ট্রনেতারা।
এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের মহাপরিকল্পনা’। চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বলতে যেটি বোঝানো হচ্ছে তা হলো, সমাজ এবং অর্থনীতির বিভিন্ন অনুষঙ্গের নিরবচ্ছিন্ন প্রযুক্তিগত রূপান্তরের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা। অর্থাৎ প্রতিটি ক্ষেত্রে রোবটিক বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার কিভাবে মানুষের কল্যাণে আসতে পারে তার কৌশল নির্ধারণ। এছাড়া স্বয়ংক্রিয় যান, ৩-ডি বা তৃমাত্রিক ছবি, ন্যানো বা অতি ক্ষুদ্র প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখা-প্রশাখা নিয়েও কৌশলগত আলোচনা হবে।
সম্মেলন বিষয়ে বিশ্ব অর্থনীতি ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান ক্লাউস শোয়াব গণমাধ্যমকে বলেন, এবারের সম্মেলনের উদ্দেশ্য হলো বিশ্বব্যপী সামাজিক ও অর্থনৈতিক সব শাখার প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের বিষয়টি একটি পারস্পারিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সবার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া। ফলে এটি আমাদের সামনের দিনগুলোকে একটি কল্যাণমুখী ধারায় প্রবাহিত করতে সহয়তা করবে।
আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে আরও থাকবে বিশ্ব বাজারে তেল ও ভোগ্য পণ্যের দামের ক্রম হ্রাস ও চলমান মুল্যস্ফিতি, বিশ্বব্যপী মুদ্রার ক্রম অবনমন ইত্যাদি। ৪ দিনব্যপী এ সম্মেলনে প্রায় ৪০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, রাজনীতিক, প্রযুক্তিবিদ একত্রিত হয়ে আলোচ্য বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরবেন। এছাড়া প্রায় ১ হাজার ৫০০ ব্যবসায়ী নেতা এক ছাদের নিচে মিলিত হবেন।
অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্যের কৌশল নির্ধারণী ডাভোস সম্মেলন প্রথম শুরু হয়েছিল ১৯৭১ সালে। অবশ্য তখন এর নাম ছিল ‘ইউরোপিয়ান ম্যানেজমেন্ট সিম্পোজিয়াম’। প্রথম সম্মেলনের সাফল্যের ধারাবাহিকতায় প্রায় প্রতিবছরই ডাভোসে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সানবিডি/ঢাকা/আহো