অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সাত দফা দাবি জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়েছে।
মানববন্ধনে ২০১৬-১৭ বর্ষের শিক্ষার্থী সুদীপ্ত বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘ সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাহিরে আমরা। যেখানে দেশের অন্যান্য সব কিছুই ঠিকঠাক চলছে! এই করোনায় আমরা শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। অন্য সব সেক্টর যখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঠিক মত চলতে পারে, তখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারবে না কেন? আজকের মানববন্ধন থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অবিলম্বে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ক্যাম্পাস সমূহ খুলে দেয়ার আহবান জানান এই শিক্ষার্থী।
আবদুল্লাহ আরিফ নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, গত দেড় বছরে অনলাইন মাধ্যমে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম চলেছে ঠিক, তবে এর ফলে লাভের চেয়ে ক্ষতির সম্মুখীনই হয়েছে আমার মত বহু শিক্ষার্থী। যেসব এলাকায় মন্থর গতির ইন্টারনেট সেবা রয়েছে, সেসব এলাকার শিক্ষার্থীরা এই ব্যবস্থায় চরম ক্ষতির মধ্যে পতিত হয়েছে। সুতরাং অনলাইন চিন্তা ভাবনাকে সংস্কার করে ক্যাম্পাস খুলে তারপর পরীক্ষা নেওয়া উচিৎ।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের দেয়া ৭ দফা দাবী উপস্থাপন করে তা মেনে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ বর্ষের শিক্ষার্থী ও মানববন্ধনের সমন্বয়ক শাহাদাত হোসাইন। শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবিগুলো হলোঃ-
১. অবিলম্বে সকল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, হল, হোস্টেল খুলে দিতে হবে এবং সকল শিক্ষার্থীদের জন্য ভ্যাক্সিন নিশ্চিত করতে হবে।
২. সুষ্ঠু পাঠ-পরিকল্পনা করতে হবে। আটকে থাকা গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাগুলো সংক্ষিপ্ত সিলেবাস এবং সময় বাড়িয়ে নিতে হবে। যে পরীক্ষা যে সিলেবাস অনুযায়ী হবে তার পরবর্তী ভর্তি পরীক্ষাগুলো সে সিলেবাস অনুযায়ী নিতে হবে।
৩. শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান যতদিন বন্ধ ছিলো তার চারভাগের এক ভাগ বেতন নিতে হবে এবং অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফ করতে হবে।
৪. যদি কোন শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তদারকিতে আক্রান্ত শিক্ষার্থীর চিকিৎসা হতে হবে এবং আক্রান্ত হওয়ার ফলে কোন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে অপারগ হলে পরবর্তীতে তাকে সাপ্লিমেন্টারী পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।
৫. রিভিউ ক্লাস/ এক্সট্রা ক্লাস/ ওপেন ক্রেডিট/ ব্যাকলগ পরীক্ষা ইত্যাদি সুবিধা সমূহ দিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতিপূরণের সুযোগ দিতে হবে এবং এর জন্য অতিরিক্ত কোন ফী নেয়া যাবে না।
৬. অটো প্রমোশন বা অটোপাস চাই না। সেশনজট এড়াতে প্রয়োজনবোধে সেশনের সময়সীমা কমাতে হবে।
৭. শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে রোডম্যাপ তৈরি ও বাস্তবায়ন করতে হবে এবং শিক্ষাখাতে অবকাঠামোগত উন্নয়নে ও সার্বিক কাজে বাজেট বৃদ্ধি করতে হবে।