প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে জান্তা সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সেখানে ব্যবসায়িক কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে শুরু করেছে অনেক পোশাক কোম্পানি। অন্যদিকে মহামারি করোনায় বিপর্যস্ত ভারতে এবং দেশটিতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ বাড়তে থাকার কারণে সেদেশ থেকেও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন পোশাকশিল্পের অনেক বায়ার (বিদেশি ক্রেতা)। আর প্রতিবেশী দুই রাষ্ট্রের এমন সংকট বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য হয়ে উঠছে আশীর্বাদ। ভারত-মিয়ানমারের বাইরে বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নিচ্ছে আমেরিকা-ইউরোপসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বায়াররা।
ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সম্প্রতি ব্যাপক আকার ধারণ করেছে, একইসঙ্গে তীব্র রূপ নিয়েছে মিউকরমাইকোসিস বা ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ সংক্রমণ। মহামারিতে ভারকে প্রাণ হারিয়েছেন তিন লাখ সাত হাজার ৭০৩ জন। পাশাপাশি সোমবার (২৪ মে) পর্যন্ত হিসাবে দেশটির ১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পাঁচ হাজার ৪২৪ জন মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া সেখানে হোয়াইট ও ইয়েলো ফাঙ্গাস সংক্রমণও শনাক্ত হচ্ছে।
অন্যদিকে গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে মিয়ানমারে। স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংগঠন অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারসের (এএপিপি) হিসাব মতে, মিয়ানমারে গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে ৩ মে পর্যন্ত জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে অন্তত ৭৬৫ জন নিহত হয়েছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে কমপক্ষে চার হাজার ৬০৯ জনকে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতাসহ সংশ্লিষ্টদের মতে, ভারত-মিয়ানমারের সংকটের কারণে সেখানকার পোশাকখাতের অনেক ক্রয়াদেশ বাংলাদেশে আসতে শুরু করেছে। অক্টোবরে এই অর্ডার স্বাভাবিক অবস্থার চেয়েও অনেক বাড়বে বলে আশা করছেন পোশাক প্রস্তুতকারকরা।
সানবিডি/এনজে