সাতক্ষীরা অঞ্চলে যত দ্রুত সম্ভব টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে। নাহলে আগামী বর্ষায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে। অনেক মানুষ বাস্তুহারা হবে। তাই খাবারের চেয়ে বেশি প্রয়োজন বেড়িবাঁধ মেরামত।
শুক্রবার (২৮ মে) ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় শক্তিশালী বেড়িবাঁধ নির্মাণের এ দাবি জানিয়েছে ‘আমরা বন্ধু ফাউন্ডেশন’ ও ‘ঢাকাস্থ শ্যামনগর, সাতক্ষীরাবাসী’। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন হয়। এ সময় সুপেয় পানির ব্যবস্থা করারও দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঘূর্ণিঝড় আইলায় আমাদের বাঁধগুলো ভেঙে গেছে। সর্বশেষ ইয়াসের কারণে নদীর পাড় ভেঙেছে। এর ফলে পুরো সাতক্ষীরা এলাকায় সুপেয় পানির সংকট দেখা যায়। পাশাপাশি মাছের ঘের ডুবে গেছে। কর্মক্ষেত্র হারিয়ে অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করছেন। আমরা ত্রাণ চাই না। খাবারের চেয়ে বেশি প্রয়োজন বেড়িবাঁধ মেরামত। এ জন্য আমাদের মূল দাবি হচ্ছে, টেকসই বেড়িবাঁধ।
বক্তারা আরও বলেন, আমাদের একটাই দাবি, সাতক্ষীরা অঞ্চলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না হলে আগামী বর্ষায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আঘাতে শ্যামনগরে ঘর, বাড়ি, জমি, ডুবে গেছে। কিছুদিন পরে সেখানকার মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়বে।
এর আগে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় জেলার সাত উপজেলার ৬টির শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণবাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে এসব গ্রাম। এছাড়া পানিতে ভেসে গেছে সাড়ে চার হাজার মাছের ঘের। এতে সর্বস্বান্ত হয়েছেন মাছচাষিরা।
সানবিডি/এএ