রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ও তার স্ত্রী, ছেলেমেয়েসহ পাঁচ জনের ব্যাংক হিসাব তলবের পর আরও ছয় জনের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। রবিবার (৩০ মে) এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল থেকে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকে চিঠি দিয়ে তাদের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়েছে।
ব্যাংক হিসাব তলব করা সাবেক উপাচার্যের ৩ সহযোগীসহ অন্যরা হলেন— ১. মো. মামুন-অর-রশিদ। বাবার নাম হারুন-অর-রশিদ। ২. মামুন অর রশিদের স্ত্রী মাহফুজা আক্তার। ৩. লুৎফর রহমান। বাবার নাম আব্দুল আজিজ সরকার। ৪. লুৎফর রহমানের স্ত্রী মনিরা ইয়াসমিন। ৫. ইব্রাহিম হোসেন মুন। বাবার নাম আবু হানিফ মোল্লা। ৬. ইব্রাহিম হসেন মুনের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা।
চিঠিতে রাবির এই ছয় জনের একক বা যৌথ নামে, অথবা তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক আমানত, যে কোনও স্থায়ী, চলতি ও ঋণ হিসাব, ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, সঞ্চয়পত্র বা অন্য যেকোনও ধরনের সঞ্চয় থাকলে তার তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ মে এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল থেকে রাবির সাবেক উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান ও তার স্ত্রী মনোয়ারা সোবহান, ছেলে মুশফিক সোবহান, মেয়ে সানজানা সোবহান ও সানজানার স্বামী এটিএম শাহেদ পারভেজের ব্যাংক হিসাব তলব করে।
আগের চিঠিতে রাবির সাবেক উপাচার্যসহ তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের একক বা যৌথ নামে অথবা তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক আমানত, যে কোনও স্থায়ী, চলতি ও ঋণ হিসাব, ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, সঞ্চয়পত্র বা অন্য যেকোনও ধরনের সঞ্চয় থাকলে তা আগামী ১ জুনের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এনবিআরের চিঠিতে ব্যাংকগুলোকে ২০১৪ সালের ১ জুলাই থেকে হালনাগাদ তথ্য সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। উল্লিখিত সময়ের আগের যদি কোনও হিসাব থাকে তাও সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অধ্যাপক সোবহান উপাচার্য থাকাকালে নিয়ম ভঙ্গ করে তার মেয়ে ও জামাতাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। অধ্যাপক সোবহান তার মেয়াদে অন্তত ৩৬৪ জন শিক্ষক এবং ৫৯৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়োগ দিয়েছেন। গত ৬ মে মেয়াদের শেষ দিনে তিনি অন্তত ৯ জন শিক্ষকসহ ১৩৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেদিনই ওই নিয়োগকে অবৈধ বলে ঘোষণা করে তদন্ত কমিটি গঠন করে।
তদন্তে ওই নিয়োগে আইন ভঙ্গের প্রমাণ পায় কমিটি এবং অধ্যাপক সোবহান ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য অনুসন্ধানের সুপারিশ করে।
সানবিডি/এএ