ডিপ্রেশন থেকে আত্মহত্যা করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থী ফারহানুজ্জামান রাকিন। তিনি এগ্রিকালচার বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী।
৩১ শে মে (মঙ্গলবার) দুপুরে ঢাকায় কচুক্ষেত এলাকার নিজ বাসায় এমন ঘটনা ঘটে। বাথরুমে গলায় ডিশ লাইনের তার পেচিয়ে তিনি আত্নহত্যা করেছেন বলে জানা যায়।
ঘটনাস্থল থেকে মৃতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি নোবিপ্রবি এগ্রিকালচার বিভাগের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়।
মৃত ফারহানুজ্জামান রাকিনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলায়। কয়েকমাস ধরে তিনি পরিবারের সাথে ঢাকার কচুক্ষেত এলাকায় বসবাস করছেন। তার বাবা একজন প্রবাসী।
রাকিন পারিবারিক কলোহের জেরে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন মৃতের সহপাঠী ও শিক্ষকরা। তিনি বেশ কয়েকমাস ধরে পারিবারিক কলোহের জের ধরে মানসিকভাবে ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। যার জেরে কয়েকমাস আগে নোয়াখালীর মেস বাসা থেকে বেরিয়ে নিরুদ্দেশ ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে নোবিপ্রবি এগ্রিকালচার বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. গাজী মো: মহসিন বলেন,
"রাকিনের অসময়ের বিদায় পুরো এগ্রিকালচার বিভাগ পরিবারকে শোকাহত করেছে। পারিবারিক কলোহের জের ধরে রাকিন বেশ কয়েকমাস ধরে বেশ ডিপ্রেশন ভুগছিলো। পরিবার থেকে তার জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এর আগেও পরিবারের সাথে রাগ করে নোয়াখালী থেকে বেশকিছুদিন নিরুদ্দেশ ছিলো রাকিন। পরর্বতীতে এগ্রিকালচার বিভাগের শিক্ষক - শিক্ষার্থী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্যে তাকে তার পরিবারের কাছে ফিরে দেওয়া হয়। পর্বরতীতে রাকিন সকলের সাথে যোগাযোগ প্রায় বন্ধ করে দেয়"।
মৃত রাকিনের সহপাঠী ফারিয়া নাজরীন বলেন
"আমরা অকালে আমাদের একজন সহপাঠীকে হারিয়েছি। বেশ কয়েক মাস যাবত রাকিন সকলের থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে চলছিলো। রাকিনের এ অপ্রত্যাশিত বিদায় আমাদের শোকাচ্ছন্ন করে তুলেছে"।
সানবিডি/এনজে