শুক্রবার মেলা ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই ভিড়ের মধ্যে পণ্যের গুণাগুণ ব্যাখ্যা আর বিক্রিতে ব্যস্ত দোকানীরা। সন্ধ্যার পর আরও বাড়ে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড়। বিক্রিও বেশ ভালো হয় বলে জানান স্টলকর্মীরা। মেলার পশ্চিম পাশে একটি গৃহস্থালী পণ্যের স্টলে কথা হয় বিক্রয়কর্মী শফিকুল ইসলামের সঙ্গে।
শফিকের মতে, বাণিজ্য মেলায় মাহিলাদের প্রথম টার্গেট থাকে গৃহস্থালী পণ্য। এসব পণ্য বাইরের দোকানের চেয়ে কিছুটা কম দামে পাওয়া যাওয়াই এর অন্যতম কারণ। বেচা-বিক্রি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নিঃসন্দেহে গত দুই বছরের চেয়ে এবার ভালো। আর শুক্র-শনিবার তো আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাচ্ছে।”
বাণিজ্য মেলার হাজার হাজার মানুষের সমাগমকে ব্যবসা সম্প্রসারণ ও প্রচারের মাধ্যম হিসেবেও কাজে লাগাতে দেখা গেছে অনেক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে। এমনই একটি প্রতিষ্ঠান ওয়াশআউট নামের লন্ড্রি। নিজেদের পরিচিত করে তুলতে মাত্র সাড়ে ৪০০ টাকায় কম্বল ধুয়ে দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে মেলায় স্টল নিয়েছে তারা।
স্টলকর্মী লুৎফা জানান, প্রচারপত্রের মাধ্যমে তারা সবার কাছে নতুন এই কোম্পানির সেবাগুলো তুলে ধরছেন। ঢাকায় ১৯টি ও ঢাকার আশাপাশের কয়েকটি জেলায় তাদের কার্যক্রম রয়েছে। শুক্রবার মা-বাবার সঙ্গে মেলায় আসেন কলেজছাত্রী শ্রেয়া। তিনি জানান, বন্ধুদের সঙ্গে দু্বার আসলেও শুক্রবার বাবা-মার সঙ্গে এসেছেন কেনাকাটার জন্যই।
মেলায় প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের পণ্যই হৃসমূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, ব্লেজার থেকে শুরু করে পরিচিত ফার্নিচার কোম্পানিগুলোর স্টলেও দেখা গেছে ‘মূল্যহ্রাসের অফার’। আকতার ফার্নিচারের বিক্রয়কর্মী ইলিয়াস বলেন, “মেলায় হ্রাসকৃত মূল্যে নামমাত্র পেমেন্টে পণ্য বিক্রি করছি আমরা। ফার্নিচার বাসায় পৌঁছে দেওয়ার পর বাকি টাকা দেওয়ার সুযোগও আছে।” বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর আয়োজনে এবার ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা হচ্ছে।
৩১ দশমিক ৫৩ একর আয়তনের মাঠে এবারের মেলায় ছোট-বড় ৫৫৩টি স্টল ও প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এর মধ্যে ৫৬টিতে রয়েছে বিদেশি পণ্য। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের স্টলের পাশাপাশি মেলায় রয়েছে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন, মা ও শিশু কেন্দ্র, শিশুপার্ক, ইকোপার্ক, ই-শপ, ই-পার্ক, মাদার কেয়ার সেন্টার ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র।
সানবিডি/ঢাকা/আহো