২০২১-২২ অর্থবছরের ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে ‘জীবন-জীবিকায় প্রাধান্য দিয়ে সুদৃঢ় আগামীর পথে বাংলাদেশ’ শিরোনামে এই বাজেট বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
তবে এবারের বাজেটেও কোন সুখবর রাখা হয়নি দেশের বীমাখাতের জন্য। গেলো অর্থবছরের বাজেটেও ছিল না নতুন কিছু। করপোরেট কর হারসহ বিভিন্ন ধরণের ভ্যাট-ট্যাক্স কমানোর যেসব দাবি করে আসছেন বীমা মালিকরা তার কোন প্রতিফলন ঘটেনি দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই বাজেটে।
নতুন অর্থবছরের (২০২১-২০২২) বাজেটে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বীমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান (মার্চেন্ট ব্যাংক ব্যতীত)’র জন্য কর হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৭.৫ শতাংশ। যা আগের বছরে একই ছিল। একইভাবে পুঁজিবাজারে অতালিকাভুক্ত ব্যাংক, বীমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর হার আগের বছরের মতোই ৪০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
এবারের বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী জানান, বীমা সেবাকে জনবান্ধব কল্যাণমুখী করার জন্য প্রবাসী বীমা, কৃষি বীমা, স্বাস্থ্য বীমা, গবাদিপশু বীমা, হাওর এলাকার জন্য শস্য বীমা প্রভৃতি চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দারিদ্র নিরসনকল্পে ক্ষুদ্রবীমা চালু সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। দরিদ্র নারীদেরকে ক্ষুদ্রবীমা আওতায় এনে নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বীমা খাতে অটোমেশনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অভিন্ন কেওয়াইসি পদ্ধতি চালু করা হয়েছে।
এদিকে প্রতি বছরের ন্যায় এবারের বাজেটেও ৫টি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল বীমা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ) । এসব প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে- করপোরেট কর হার নন-লাইফ বীমায় ৩৫ শতাংশ এবং লাইফ বীমায় ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব; লাইফ বীমা গ্রাহকের মুনাফার ওপর থেকে ৫ শতাংশ গেইন ট্যাক্স প্রত্যাহার; বীমা এজেন্টদের কমিশনের ওপর ৫ শতাংশ অগ্রিম ট্যাক্স পরিশোধের বিধান দুই বছরের জন্য স্থগিত; স্বাস্থ্য বীমার প্রিমিয়ামের ওপর থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার; পুনর্বীমা প্রিমিয়ামের কমিশনের ওপর আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার।