বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ থেকে ভোজ্যতেল লিটার প্রতি ৫ টাকা কমে বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবে আগামীকাল থেকে নতুন দামের প্রভাব খুচরা বাজারে পড়বে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৫ লিটারের প্রতি বোতল সয়াবিন তেল ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ৪৪৫ থেকে ৪৫৫ টাকায়। আর খোলা তেল ৮৮ থেকে ৯০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের দামে কেনা, তাই আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা।
ক্রেতারা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমেছে। সরকারও দাম কমানোর নির্দেশ দিচ্ছে। কিন্তু বাজারের চিত্র পরিবর্তন হয়নি। বিক্রেতারা সিন্ডেকেট করে ক্রেতাদের পকেট কাটছেন।
রাজধানীর ফকিরাপুলের বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের স্বত্বাধীকারি মো. সোহাগ সানবিডিকে বলেন, মিল মালিক যারা আছেন, যে প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তেল নেয়া হয় তারা দাম কমানোর ব্যাপারে কোন নির্দেশনা দেননি এবং আগের দামেই তেল কিনতে হয়েছে। ফলে আমরা (ব্যবসায়ীরা) আগের দামেই তেল বিক্রি করছি। দাম কমতে একটু সময় লাগবে।
আরেক ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান বলেন, কোম্পানিগুলো বোতলজাত তেলের দাম না কমালে তারা কমাতে পারছেন না। বোতলজাত তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য বোতলের গায়ে লেখা থাকার কারণে নির্ধারিত দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে শনিবার থেকে লিটার প্রতি ৫ টাকা কমে তেল বিক্রির কথা থাকলেও রাজধানীর পাইকারি বাজারে শনিবার দুপুর পর্যন্ত অধিকাংশ কোম্পানিরই তেল আগের দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
তবে আগের কেনা ভোজ্যতেল লোকসান গুনে কম দামে বিক্রি না করলেও নতুন করে যে তেল কেনা হচ্ছে, তা লিটার প্রতি ৫ টাকা কমেই বিক্রি করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন তেল ব্যবসায়ীরা।
বিভিন্ন ব্যান্ডে ডিলারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আজ থেকে কম দামে তেল ছাড়া হয়েছে। তবে খুচরা পর্যায়ে যাদের কাছে তেল মজুদ রয়েছে তারা হয়তো ওই তেল শেষ না হওয়া পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি করবে। সে ক্ষেত্রে আরও দু’একদিন সময় লেগে যেতে পারে।
বাংলাদেশ ভোজ্য তেল পরিশোধনকারী ও বনস্পতি উৎপাদনকারী সমিতি’র সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, পাইকারী পর্যায়ে দাম ইতোমধ্যে কমে গেছে। খুচরা পর্যায়ে শিগগিরই কমে যাবে বলে আশা করছি।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ