কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান এবং কুলিয়ারচর গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসা মিয়া আর নেই। শনিবার ভোর সোয়া ৬টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) । তিনি দীর্ঘদিন ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন।
কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের কোম্পানি সেক্রেটারি আতাউর রহমান জানিয়েছেন, মোহাম্মদ মুসা মিয়া মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই পুত্র, এক কন্যা রেখে গেছেন। তার বড় ছেলে ইমতিয়াজ বিন মুছা কুলিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র। মুসা মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স পরিবার।
অন্যদিকে মুসা মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, হাওর এলাকায় শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে মুসা মিয়ার অবদান জনগণ আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। মুসা মিয়ার আত্মার মাগফিরাত কামনা ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান রাষ্ট্রপতি।
জানা গেছে, ১৯৫৮ সালের ৫ মার্চ কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার পৈলানপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ মুসা মিয়া (সিআইপি) । তার পিতার নাম আলহাজ আবুল কাশেম কাঞ্চন মিয়া। যিনি ছিলেন একজন সফল মৎস্য ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি। তার মা মরহুম বেগম নূরুন্নাহার ছিলেন একজন গৃহিনী।
মুসা মিয়ার শিক্ষা জীবন শুরু কুলিয়ারচর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাথমিক শাখায়। ১৯৭৫ সালে কুলিয়ারচর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৭৭ সালে চট্রগ্রাম সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ১৯৭৯ সালে একই কলেজ থেকে বি.কম পাশ করেন। ছাত্র জীবনে তিনি ছাত্রলীগ করতেন।
১৯৯৪ সালে নির্মিত দেশের বৃহত্তম কুলিয়ারচর সোয়েটার ইন্ডাষ্ট্রিজ লি.সহ গাজীপুরে একাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে মুসা মিয়ার। সফল ব্যবসায়ী হিসেবে তার নিজস্ব শিল্প প্রতিষ্ঠানের বাইরেও বিভিন্ন ব্যবসায়ীক উদ্যোক্তা ও অংশিদার। তিনি কন্টিনেন্টাল ইন্সুরেন্স, গোল্ডেন লাইফ ইন্সুরেন্স ও যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান ছিলেন।
এ ছাড়া তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যাংক এনসিসি ব্যাংক এর অন্যতম উদ্যেক্তা ও শেয়ার হোল্ডার। তিনি আমেরিকায় লস এঞ্জেলাস, ইউরোপের কয়েকটি দেশ ও সিঙ্গাপুরে রপ্তানিকৃত মৎস্য প্রক্রিয়াজাত করণ পণ্যের সেলস সেন্টার স্থাপিত করেছেন। দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি মুসা মিয়া একজন সিআইপি। ১৯৯০ সালে প্রথম বারের মতো বাংলাদেশ সরকার তাকে সিআইপি মর্যাদা দেন।