মহামারি করোনার এই কঠিন সময়ে শরিরের সঠিক যত্ন নেয় খুবই জরুরী। তাই প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে অ্যালোভেরার জুস পান করা সবচেয়ে ভালো। চাইলে আপনি সময়টা পরিবর্তন করতে পারেন।
অ্যালোভেরার গুণের কথা আমরা কম-বেশি সবাই জানি। বিশেষ করে ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এর জুড়ি নেই।
তবে আমরা অনেকেই জানি না যে, অ্যালোভেরা শরীরের আরও অনেক উপকার করে।
অ্যালোভেরায় ভিটামিন এ (বিটা-ক্যারোটিন), সি, ই, ফলিক অ্যাসিড এবং কোলিনসহ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা মুক্ত র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করে।
যাদের পেটের সমস্যা রয়েছে এবং যারা নিয়মিত ব্রণের সমস্যায় ভুগছেন তারা অ্যালোভেরার জুস পান করলে উপকার পাবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য কাটিয়ে ওঠার জন্য অ্যালোভেরা উপকারী। এটি মলকে নরম করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
অ্যালোভেরায় এমন কিছু খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ফ্যাট কমায়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
শরীরে কোলেস্টেরল থাকা প্রয়োজন। তবে বেশি পরিমাণে কোলেস্টেরলে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। খারাপ কোলেস্টেরল হার্টের ক্ষতি করে। অ্যালোভেরা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
অ্যালোভেরার জুস বানানো খুব সহজ। বাজারে প্রচুর অ্যালোভেরা পাওয়া যায়। তাজা অ্যালোভেরা সংগ্রহ করে ভেতর থেকে জেল বের করুন। পানিসহ দুই চা-চামচ অ্যালোভেরা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। ব্যস হয়ে গেল অ্যালোভেরার জুস। চাইলে সামান্য বিট লবণ অথবা পুদিনাপাতা যোগ করতে পারেন স্বাদের জন্য।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে অ্যালোভেরার জুস পান করা সবচেয়ে ভালো; চাইলে অন্য যেকোনো সময়েও এটা খেতে পারেন।
অতিরিক্ত কোনো কিছুই যেমন ভালো নয়, তেমনি অতিরিক্ত অ্যালোভেরাও ক্ষতিকর। দিনে ১০০ গ্রামের বেশি অ্যালোভেরা কিডনির ক্ষতি করে। হতে পারে ডায়রিয়াও। গর্ভবতী এবং স্তন্যদানকারী মহিলাদের অ্যালোভেরা পান করা উচিত নয়। কারণ এটি তাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
অ্যালোভেরা ব্যবহারের কারণে যদি কোনো স্বাস্থ্য অনিয়ম হয়, তবে তাৎক্ষণিকভাবে এটা পান বন্ধ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।