চলতি বছরে যশোরের সীমান্তবর্তী উপজেলা শার্শায় সোনালি ফসল পাটের আবাদ গত বছরের চেয়ে বেড়েছে। বেশি লাভের আশায় পাট চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল জানান, চলতি বছর শার্শা উপজেলায় গত বছরের চেয়ে পাট চাষ বেড়েছে। এ বছর চাষিরা পাঁচ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করেছে। গত বছর আবাদ হয়েছিল পাঁচ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পাট উৎপাদন হবে। পাটের বাম্পার ফলনের আশায় এ বছর আবাদ বেশি হয়েছে এ উপজেলায়। বর্তমান পাটের বাজার মূল্য অনুযায়ী উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে বেশি লাভের আশা করছেন কৃষকরা।
গত বছর আড়াই হাজার টাকায় প্রতি মণ পাট বিক্রি হয়েছে বলেও জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
কৃষক বাবু জানান, এক বিঘা জমিতে পাট চাষ বাবদ বীজ, সার, কীটনাশক, পরিচর্যা ও আনুষঙ্গিক খরচসহ রোদে শুকিয়ে ঘরে তোলা পর্যন্ত খরচ হয় ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকা।
তিনি জানান, উপজেলা কৃষি অফিস তাদের পাট বীজসহ বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। কৃষি অফিসের সহযোগিতায় তারা পাট বপন করে ভালো ফল পেয়েছেন।
তবে, ধানের মতো পাটের বাজারও সিন্ডিকেটের দখলে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। সরকারিভাবে পাটের মূল্য নির্ধারণ ও পাট ক্রয়ের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
কৃষক আব্দুল আলিম জানান, খেতে পাট গাছের উচ্চতা এখন দুই-তিন হাত। পাট খেতের পরিচর্যায় তারা ব্যস্ত আছেন। বর্ষা মৌসুমেই পাট গাছ আরও বড় হয়ে উঠবে।
পাট কাটা শুরু, জাগ দেয়া থেকে ঘরে তোলা পর্যন্ত গ্রামাঞ্চলে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল জানান, পাটের দাম বাড়ার পাশাপাশি জমিতে কম শ্রম দিতে হয়। জমির আগাছাও ওষুধ দিয়ে নির্মূল করা সম্ভব। তাই, শার্শা উপজেলার সবখানেই পাট চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা।
বর্তমান বাজার দর ঠিক থাকলে পাট চাষ করে কৃষকরা অধিক লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এই কৃষি কর্মকর্তা।
সানবিডি/এএ