উৎপাদন বাড়াচ্ছে ইরান, কমতে পারে তেলের দাম

আপডেট: ২০১৬-০১-১৯ ১১:৩৯:০০


petrolপরমাণু কার্যক্রম নিয়ে সমঝোতার পর তেল রপ্তানিসহ বিভিন্ন খাতে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। এ সুযোগে বিপুল পরিমাণ তেল উৎপাদনের পথে এগোতে পারছে ইরান। তেলের বাজারে নিজেদের অবস্থান চাঙ্গা করতে দেশটি দৈনিক ৫০ হাজার ব্যারেল তেল উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এমনটা বাস্তব হলে বিশ্ববাজারে তেলের দাম আরো কমতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ইরানের উপ-তেলমন্ত্রী রোকনোদ্দিন জাভেদির বরাত দিয়ে আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  তেলের বাজারে নিজেদের অংশীদারিত্ব ফিরে পেতে চায় ইরান। স্থানীয় সময় সোমবার তাঁর এ মন্তব্য মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে পোস্ট হয়েছে।

মন্ত্রীর কথা অনুযায়ী, তেলের বাজার ফিরে পেতে ইরান তার সামর্থ্যের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করবে। আর সেটা সম্ভব হলে ব্যারেলপ্রতি জ্বালানি তেলের বর্তমান বাজারদর ২৮ ডলার বা দুই হাজার ২৪০ টাকা থেকেও কমে যেতে পারে।

২০১২ সালে বিশ্ব পরাশক্তিগুলোর (যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, চীন ও জার্মানি) অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে ইরান দৈনিক ২৩ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করত। নিষেধাজ্ঞা কেটে যাওয়ার পর দেশটি আবার সে পথেই হাঁটতে চাইবে। আর এতে করে গত ১৩ বছরের মধ্যে তেলের সর্বনিম্ন দরেও পতন হতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জ্বালানি বিশ্লেষক রিচার্ড ম্যালিনসন আলজাজিরাকে বলেন, ইরান কত দ্রুত তেল উৎপাদন বাড়াতে পারে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।

জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থা আইএইএ গত শনিবার ঘোষণা দেয়, গত বছর করা বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে চুক্তির শর্ত মেনে নিয়েছে ইরান। আর এ ঘোষণার পরই ইরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় বিশ্বশক্তিগুলো।

সানবিডি/ঢাকা/এসএস