নোয়াখালী জেলার কৃতী সন্তান আলহাজ্ব আব্দুর রহমান। যিনি দীর্ঘদিন ২৫ বছর ১৯৯৭ সালে থেকে সৌদি আরবের বসবাস করে আসছেন। নিজের প্রচেষ্টায় তিল তিল করে প্রবাসের মাটিতে গড়ে তুলেছেন বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

তার ব্যবসার সঞ্চয় থেকে কিছু অর্থ অকাতরে বিলিয়ে দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত প্রবাসী বাংলাদেশীদের কল্যাণে।বিশেষ করে জেদ্দা,মক্কা,মদিনা, কোন বাংলাদেশী সমস্যায় পড়লে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন সবার প্রিয় রহমান ভাই।

জেদ্দায় সামাজিক এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ডে তৃনমূল থেকে তিলে তিলে দলের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে আস্তে আস্তে সৌদি আরবের পঞ্চিমাঞ্চল প্রদেশের গড়ে তুলেছেন শক্ত ঘাঁটি। সৌদি আরবের মাাটিতে রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার সত্ত্বেও নিজের জীবন বাজি রেখে দলকে তুলে ধরেছেন সৌদি আরবে একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে।

সৌদি আরবে প্রবাসীদের কাছ থেকে দানবীর খেতাব পেয়েছেন তিনি। সৌদি আরবে দল মত নির্বিশেষে সকল প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছে সমান শ্রদ্ধার পাত্র রহমান ভাই।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গোটা বিশ্বেই যখন অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। সেইখানে বাদ পড়েনি সৌদি আরবও, ফলে চলছিল দিনের পর দিন লকডাউন, বাংলাদেশী প্রবাসীরা দিশেহারা হয়ে পড়ছিল, ছিল না ঘরে খাবার, কর্মহীন হয়ে পড়া প্রবাসীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী প্রধান করেন মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য এই স্লোগানকে সামনে রেখে তখন প্রায় ৫/৭ হাজার কর্মহীন প্রবাসীদের পাশে দাড়িয়েছিলেন আলহাজ্ব আব্দুর রহমান। করোনা ভাইরাসের কারনে কর্মহীন হয়ে পড়া প্রবাসীদের কফিলের কাজ না থাকায় ইকামার মিয়াদ চলে যাওয়ায় ইকামা বানাতে পারছিল না, সেই সকল প্রবাসীদের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে তিনি। ফলে অসহায় প্রবাসীদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হয়।

জেদ্দা ও মক্কার মদিনার অসহায় মানুষের বন্ধু আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, প্রবাসীদের উপকারী বলে প্রবাসীরা প্রবাসী বান্ধব নেতা বলে ডাকেন থাকে। শুধু প্রবাসে নয় দেশের অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে তিনি সবসময়ই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছেন।

আলহাজ্ব আব্দুর রহমানের জীবনের উদ্দেশ্য হলো মানুষের সেবা করা এবং গরীব ও অসহায় মানুষের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া। এই ছাড়াও তিনি দেশে নোয়াখালী বেগমগঞ্জ আব্দুল করিম ফাউন্ডেশন তার বাবার নামে প্রতিষ্ঠা করেছেন।বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নগদ অর্থ সহায়তা সহ বিভিন্ন ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন।

আলহাজ আব্দুর রহমান নোয়াখালী জেলার কৃতী সন্তান। রাজনীতি জীবনে তিনি সৌদি আরবের পঞ্চিমাঞ্চলে বিএনপির আব্দুর রহমান বলে জানেন প্রবাসীরা। জেদ্দার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের উপদেষ্টা হিসাবে দায়ীত্বে আছেন এবং সৌদিআরবে জেদ্দায় একজন সফল উদ্যোক্তা ও সফল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজের পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি।

মানুষের জন্য কিছু করতে পারার মাঝে আনন্দ খুঁজে পান আলহাজ্ব আব্দুর রহমান । তিনি বলেন, ‘মানবিক কাজের মধ্যে অন্যরকম প্রশান্তি আছে। যখন কোনো আসহায়, দুস্থ মানুষকে সাহায্যের মাধ্যমে তার মুখে হাসি ফোটাতে পারি, তখন হৃদয়টা প্রশান্তিতে ভরে যায়। এ প্রশান্তি আর কোথাও পাইনা। মানব সেবার মধ্য দিয়ে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জন ও পরকালীন সফলতাই আমাদের মূল লক্ষ্য। প্রত্যেকেই যদি নিজের জায়গা থেকে সমাজের অসহায় মানুষদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে, তবে এ পৃথিবীটা মানবিক বিশ্ব হিসেবে গড়ে উঠবে। ব্যক্তিগত জীবনে আব্দুর রহমান সন্তানের গর্বিত পিতা।

সানবিডি / এন/ আই