কন্টাক্ট লেন্সের কারণে দৃষ্টি হারাচ্ছেন অভিনেত্রী প্রিয়া?

আপডেট: ২০১৫-১০-০৩ ১৮:২৭:৫৩


Priya-Aman

সাধারণত চোখের সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্যই অনেক সময় অভিনয়শিল্পীরা কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এই কন্টাক্ট লেন্সই এবারে কাল হয়েছে নতুন প্রজন্মের অভিনয়শিল্পী প্রিয়া আমানের। কন্টাক্ট লেন্সের কারণেই তাঁর দুটি চোখের কর্নিয়া প্রায় নষ্ট হওয়ার পথে। প্রিয়া জানিয়েছেন, ‘এমনও হতে পারে, আমি হয়তো আর কোনো দিন কাউকে দেখতে পারব না।’

গত ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার পান্থপথের শুটিংবাড়ি ‘ইউটিসি’তে ‘ইয়েস ম্যাডাম, নো স্যার’ ধারাবাহিক নাটকের শুটিং করেন প্রিয়া। ছবির কাহিনির প্রয়োজনে তিনি কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করেছিলেন।

শনিবার সকালে প্রিয়া আমান বলেন, ‘নাটকের শুটিং শেষ হতে হতে মধ্যরাত হয়ে যায়। তাড়াহুড়োর কারণে তখন আর কন্টাক্ট লেন্স খুলতে মনে ছিল না। পরে বাসায় ফেরার পথে রাস্তায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার মধ্যে কন্টাক্ট লেন্স খোলার পর পরই চোখে অসহ্য যন্ত্রণা হয়। ব্যথার তীব্রতা ক্রমেই বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে এত বেশি ব্যথা হচ্ছিল যে, আমি আর কোনো উপায় না পেয়ে চিৎকার করতে থাকি। আমার চিৎকারে সেখানে উপস্থিত কিছু পুলিশ সদস্য আমাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যান। এরপর সেখান থেকে আমাকে নেওয়া হয় চক্ষু হাসপাতালে।’

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে প্রিয়া বলেন, আমার দুটি চোখের কর্নিয়াই মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চিকিৎসকদের ধারণা, যে লেন্সটি চোখে ব্যবহার করেছিলাম সেটি হয়তো মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। কিন্তু ‘ফ্রেশ লুক’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের এই কন্টাক্ট লেন্সের প্যাকেটের গায়ে মেয়াদ ২০২০ সাল পর্যন্ত লেখা ছিল।’

তিন দিন আগেও যে প্রিয়া আমান হাসি আর আনন্দে শুটিং করে বেড়িয়েছেন গত দুদিন ধরে কান্নাই তাঁর একমাত্র সম্বল হয়েছে। তিনি বললেন,‘আমার সবকিছুই এখন অন্ধকার। চোখে অসহ্য যন্ত্রণা। মনে হয়, চোখ দুটো নষ্ট হয়ে গেছে। আমি আবারও সবকিছু দেখতে চাই। আমি কি চোখের আলো ফিরে পাব?’

প্রিয়া আমানের দুটি চোখের কর্নিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর থেকে তিনি চোখে কিছু দেখতে পারছেন না। বর্তমানে তাঁর চোখ দুটি ব্যান্ডেজ করা অবস্থায় রয়েছে।

বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রিয়া বলেন, ‘তিন দিন ধরে চোখে ব্যান্ডেজ করা। আজ চিকিৎসকেরা চোখের ব্যান্ডেজ খুলে ড্রেসিং করে দেবেন।’

এবারের ঈদে প্রিয়া আমান অভিনীত ছয়টি নাটক বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারিত হয়েছে। এগুলো হলো— মোহন খানের ‘মেঘ পাখি একা’, অঞ্জন আইচের ‘সাধারণের দুঃস্বপ্ন’, পৃথুরাজের ‘অনুরণন’, শাহিন সরকারের ‘ভালোবেসে যদি সুখ নাহি’, মিনহাজ অভির ‘চন্দ্রমল্লিকার বনে’ এবং অন্তু আজাদের ‘আহ্বান’।

অভিনেতা সোহেল রানার হাত ধরে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটেছিল প্রিয়া আমানের। ‘অদৃশ্য শত্রু’ সিনেমায় জায়েদ খান ও নবাগত মাশরুর পারভেজের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি।