নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) অনলাইনে চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সোমবার (১২ জুলাই) উক্ত পদ্ধতিতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বিভাগে একযোগে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
অনলাইন প্লাটফর্ম গুগল ক্লাসরুম এবং জুম ব্যবহার করে আজ সকালে নোবিপ্রবির অর্থনীতি ও অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের ৫ম সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয়। এতে প্রত্যেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল ব্যবহার করে পরীক্ষায় অংশ নেয়।
এর আগে গত ২৮ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত তিন দিন ব্যাপী অনলাইন পরীক্ষা পদ্ধতি প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর তত্ত্বাবধানে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং পরীক্ষা কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উক্ত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
অনলাইন পরীক্ষায় অংশ নেয়া অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইফতিয়া জাহিন রাইদাহ বলেন, দীর্ঘদিন পরে সেমিষ্টার পরীক্ষায় অংশ নিতে পেরে সেশনজটের শঙ্কা থেকে খানিকটা মুক্ত অনুভব করছি। বিভাগের শিক্ষকদের সহায়তায় সুন্দরভাবে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। টেকনিক্যাল ও নেটওয়ার্ক জনিতসমস্যা শিক্ষকরা আন্তরিক সহযোগিতা করেছেন। এছাড়া সার্বিক সমস্যা সমাধানে সুন্দর ভাবে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য বিভাগীয় প্রধানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এই শিক্ষার্থী।
অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান শান্ত বলেন, "দীর্ঘ সময় পর পরীক্ষা আয়োজনের জন্য নোবিপ্রবি প্রশাসন কে ধন্যবাদ। ছোট বড় সকল প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরে ছাত্র শিক্ষক সবাই উচ্ছ্বসিত।
ভাবতে বা বলতে যতটা সহজ যে অনলাইন পরীক্ষাই তো স্যারদের নিতে কি সমস্যা, আসলে ব্যাপার টা মোটেও তেমন নয়। বরং অন্যসময়ের থেকে এখানেই সময় ও শ্রম দুটোই বেশি লাগে। আমরা দেখলাম যে স্যারেরা কতটা আন্তরিকতার সহিত সবধরনের সমস্যার সমাধান করতেসে। তবে প্রশ্নপত্র ও মান নিয়ে আক্ষেপ রয়েই গেলো। আসলে ভিডিও অন বা এত এত কঠিন নিয়ম কানুন নকল ঠেকাতে সেগুলো কতটা কার্যকর ছাত্রদের অভিনব পদ্ধতির কাছে সেটা একটি বড় প্রশ্ন? প্রশ্নপত্র সম্পন্ন সৃজনশীল করাই যৌক্তিক ছিলো। সব বাধা-বিপত্তি, সমস্যার পরেও ছাত্র হিসেবে আমি খুবই উচ্ছ্বসিত এবং শিক্ষকদের আন্তরিকতায় মুগ্ধ"।
অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মোঃ ফরিদ দেওয়ান বলেন, "অনলাইনে প্রথম পরীক্ষা হিসেবে কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হলেও শিক্ষার্থীদের শতাভাগ উপস্থিতি পেয়েছি আমরা। কিছু ট্যাকনিক্যাল সমস্যা ছিলো, ছাত্রছাত্রীরা কমন ইন্সট্রাকশন গুলো ভালোভাবে ফলো করতে পারেনি।
গুগল ক্লাসরুমে উত্তরপত্র জমা দিতেও একটু লেইট করেছে শিক্ষার্থীরা। ট্যাকনিক্যাল কিছু সমস্যা ব্যতিত সব কিছু ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে।আমরা আশা করছি,পরবর্তী পরীক্ষা গুলোতে সব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবে সবাই"।
সানবিডি/এন/আই