নিঃস্ব প্রবাসীদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে না নিতে আইনি নোটিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশ: ২০২১-০৭-১৩ ১৭:০৮:২৩
ক্ষতিগ্রস্ত ও নিঃস্ব হয়ে মালয়েশিয়ায় অবৈধ ও কর্মহীন থাকা প্রবাসীদের দেশে ফেরত আসার পর সরকার নির্ধারিত কিছু আবাসিক হোটেলে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখা এবং হোটেলে বিল পরিশোধে বাধ্য না করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) এবং পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বগুড়ার মো. তারেক রহমানের বাবা মোহাম্মদ আব্দুল লতিফের পক্ষে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) ই-মেইলের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূইয়া এ নোটিশ প্রেরণ করেছেন।
নোটিশে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ায় অবৈধ ও কর্মহীন থাকা প্রবাসীদের দেশে ফেরত আসার পরে কোভিড-১৯ এর কারণে তাদেরকে সরকার নির্ধারিত কিছু আবাসিক হোটেলে বাধ্যতামূলক ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হয় এবং সেসব হোটেলে বিল পরিশোধ করা তাদের জন্য বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ে। কিন্তু মালয়েশিয়া সরকার সম্প্রতি সেখানে কর্মহীন হয়ে পড়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের যারা দেশে আসতে আগ্রহী তাদেরকে মালয় টাকায় ৫০০ রিঙ্গিত (বাংলাদেশের ১০ হাজার টাকা) জরিমানা, বিমান ভাড়া ১৩২৭ রিঙ্গিত (বাংলাদেশের ২৭ হাজার ৫শ টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত) এবং কোভিড টেস্ট ৩০০ রিঙ্গিত (৬ হাজার ৫৭ টাকার মতো) মোট ৫০ হাজার টাকার ওপরে খরচ করতে হচ্ছে।
‘যেহেতু মালয়েশিয়া ফেরত প্রতিটি শ্রমিকের করোনা নেগেটিভ যা ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত বৈধ থাকছে। এরপরও তাদেরকে দেশে ফেরার পরে সরকারের নির্ধারিত হোটেলে ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। এতে নিঃস্ব প্রবাসীরা অহেতুক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছেন। কোয়ারেন্টিনের নামে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর কর্তৃক নির্ধারিত হোটেলে প্রবাসীদের বেশি টাকা দিয়ে থাকা অসম্ভব।
সে কারণে বাংলাদেশে আসার পরে আবার তাদের কোভিড টেস্ট করা হোক। যদি তারা কোভিড-১৯ পজেটিভ হয় তাদের নিদিষ্ট কোন হোটেলে কোয়ারেন্টিনে রাখা হোক। এ ছাড়া তাদের হোম কোয়োরেন্টিনে রাখা যেতে পারে। এর আগেও এ ধরনের নজির রয়েছে।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, যেহেতু মালয়েশিয়া প্রবাসীরা বর্তমানে কর্মহীন নিঃস্ব অবস্থায় দেশে ফিরে এসেছে। হোটেল কোয়ারেন্টিনের নামে কর্মহীন বিদেশ ফেরতদের আর্থিক ক্ষতি করা কাম্য নয়। কেননা যে সমস্ত হোটেলে প্রবাসীদের থাকতে হয় সেগুলো খুবই ব্যয়বহুল। যা একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তাদের (প্রবাসীদের) ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
নোটিশ পাওয়ার পর আগামী সাত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে এর আইনি প্রতিকার চাওয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
সানবিডি/এন/আই