সব ধরনের পণ্যে সর্বজনীন প্যাকেজিং অ্যাক্ট বাস্তবায়নে সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্লাস্টিক ব্যবসায়ীরা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি আজ বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্লাস্টিক মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে তিনি বক্তব্য রাখেন।
এর অাগে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
প্লাস্টিকের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট অ্যাক্ট না থাকায় এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত বেশ কিছু কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জানিয়ে মাতলুব আহমেদ বলেন, প্যাকেজিং বিষয়ে পাট শিল্পের জন্য যে আইন করা হয়েছে তাতে সমস্যার সমাধান হবে না। কারণ অভ্যন্তরীণ ও রপ্তানি উপযোগী এমন কিছু পণ্য রয়েছে যেগুলোর প্যাকেজিং এ প্লাস্টিক ছাড়া সম্ভব নয়।
সম্প্রতি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে ৬টি (ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার ও চিনি) পণ্যে প্যাকেজিং এ প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার প্রেক্ষিতে এ আলোচনা এসেছে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, প্লাস্টিক খাতে শুল্ক প্রত্যাহারসহ প্রয়োজনীয় নীতিগত সহায়তা পেলে এ খাত অচিরেই একটি সম্ভবনাময় খাতে পরিণত হবে।
বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদেকর সংগঠন বিপিজিএমইএ এ মেলার আয়োজন করেছে। আজ থেকে এ মেলা শুরু হয়েছে। মেলা চলবে আগামী ২৩ জানুয়ারি শনিবার পর্যন্ত।
এবারের মেলায় ২২টি দেশ অংশ নিয়েছে।এতে ৩৫০টি মতো স্টল রয়েছে। মেলায় মেশিনারিজ, মোল্ড, কাঁচামাল উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানসহ দেশে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অংশগ্রহণ করবে।
এছাড়া মেলায় বিশেষ আয়োজন হিসেবে থাকছে বিভিন্ন সেমিনার ও কনফারেন্স। প্লাস্টিক পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানের গবেষকেরা এসব সেমিনারে বক্তব্য দেবেন।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিপিজিএমইএর সভাপতি মো.জসিম উদ্দিন, সাবেক সভাপতি ফেরদৌস ওয়াহেদ, শাহেদুল ইসলাম হেলাল, খাজা আনোয়ারুল হক, পরিচালক শাহজাহান, আবুল খায়ের প্রমুখ।