ভীষণ ঠান্ডা যে! দিনের পর দিন গোসল না করে থাকেনও কেউ কেউ। গরম কাপড় চোপড়ে ত্বক তো ঢাকাই থাকছে। ময়লা জমবে কী করে, এই ভাবনাও ভাবেন অনেকেই। তবে এসব আসলে আপনার ত্বকের ক্ষতিই করে। যত ঠান্ডাই হোক, নিয়মিত গোসল করা চাই শীতেও।
হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের অধ্যাপক আফজালুল কারিমের মতে, ‘আমাদের দেশে শীতের সময় অনেকে নিয়মিত গোসল করতে চান না। এই অভ্যাস একদম ঠিক নয়। গোসল না করলে ত্বক আর্দ্রতা হারিয়ে খসখসে হয়ে পড়ে। ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়।’
ঠান্ডা থেকে বাঁচতে এই সময়ে আমাদের পুরো শরীর গরম কাপড়ে ঢাকা থাকে। যে কারণে শরীরে ময়লা কম জমে। তাই বলে একটানা দুই দিনের বেশি গোসল না করে থাকা! হেয়ারোবিক্সের রূপবিশেষজ্ঞ মাহবুব শাদীন বলেন, দিনে একবার গোসল করা ভালো। তবে শীতের সময় একদিন পর পর গোসল করতে পারেন। আর গোসলের সময় ও পরে কিছু নিয়ম মেনে চললে ত্বকের কোমলতাও ঠিক রাখা সহজ।
গোসলের পানি
শীতকালে গোসলের পানি অনেকে গরম করে নেন। আফজালুল করিম বলেন, ‘পানি গরম করে গোসল করলে কোনো সমস্যা নেই। তবে সেটা কুসুম গরম হওয়া চাই। বেশি গরম পানিতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।’ গোসলের সময় ঠান্ডা থেকে বাঁচতে একটা বুদ্ধি বাতলে দিলেন মাহবুব শাদীন। তিনি জানান, গোসলে যাওয়ার আগে এক টুকরো ছোট্ট বরফের কিউব মুখে পুরে নিন। এরপর দেখবেন গোসলের সময় বেশি ঠান্ডা লাগবে না।
সাবান ও শ্যাম্পু
শীতের সময় নিয়মিত ব্যবহার করা সাবানটা বদলে নিলেই ভালো। ময়েশ্চারাইজারযুক্ত সাবানই এই সময়ের জন্য উপযুক্ত। অ্যালকোহলিক উপাদান আছে এমন সাবান শীতে এড়িয়ে গেলেই ভালো। কারণ, এমন সাবানে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবে। অনেকের চুলে শীতে বেশি খুশকি দেখা দেয়। তাই এ সময় কন্ডিশনারযুক্ত খুশকিরোধক শ্যাম্পু বেছে নিন।
তেল মাখুন
গোসলের আগে শরীরে একটু তেল মেখে নিতে পারেন। তবে সেটা নারকেল তেল না। জলপাই তেল বা সরিষার তেল হলে ভালো। গায়ে মাখতে না চাইলে, গোসলের শেষ ভাগে পানিভর্তি বালতিতে ২০ ফোঁটা জলপাই তেল মিশিয়ে শারীরে ঢালুন। দেখবেন ত্বক কোমল হবে।
গোসলের পর
গোসল শেষ করে শরীরের পানি তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নেওয়া উচিত। ত্বকে বেশি জোরে তোয়ালে ঘষা ঠিক না। অনেকে আবার গোসল করেই চুলা বা হিটারের সামনে দাঁড়ান। এতে ত্বক ও স্বাস্থ্য দুটোরই ক্ষতি হতে পারে। এ ছাড়া গোসলের পর শরীরে নিয়মিত লোশন ব্যবহার করা ভালো। এতে ত্বক কোমল ও মোলায়েম হয়।
সানবিডি/ঢাকা/রাআ