টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার খাল-বিলে পানি না থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। এখন বর্ষার ভরা মৌসুমে এসব খাল-বিলে পানিতে থৈ থৈ করার কথা থাকলেও এবার দেখা মিলছে না এমন চিত্র।
বিশেষ করে উপজেলার চরাঞ্চলের কৃষকরাই পড়েছেন বেশি ভোগান্তিতে। সেখানে নদী এবং মাছ চাষের পুকুর ছাড়া কোথাও পাট জাগে ফেলার মতো মিলছে না প্রয়োজনীয় পানি। কোনো উপায় না পেয়ে কৃষকরা পাট কেটে ক্ষেতেই ফেলে রাখছেন। অনেকে বানের পানির আশায় পাট না কেটেই রেখে দিচ্ছেন।
প্রয়োজনীয় পানি না পেয়ে নিচু জায়গায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে জাগ দিচ্ছেন অনেকে। তবে এতে ফলন ভালো হলেও পর্যাপ্ত পানির অভাবে পাটের আঁশ আর সোনালি না থেকে কালো রঙের ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে। এটির বাজারমূল্য সোনালি আঁশের থেকে অনেক কম হওয়ায় ভালো দাম পাওয়া নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
এ বিষয়ে এক কৃষক জানান, বানের পানি না থাকার কারণে সড়কের খাদে জমা বৃষ্টির পানিতে পাট জাগে ফেলতে হচ্ছে। কম পানিতে জাগ দেওয়া পাটের আঁশ কালো ও চটাচটা হয় বলে তা কম দামে বিক্রি করতে হয়। পাটের ফলন এবার ভালো হলেও প্রয়োজনীয় পানির অভাবে আঁশ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শোয়েব মাহমুদ জানান, এ বছর দেলদুয়ারে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪১৪ হেক্টর। কিন্তু চাষ হয়েছে ১৪৩৪ হেক্টর জমিতে। ফলনও ভালো হয়েছে। চরাঞ্চলে বিশেষ করে এলাসিন, দেওলী ও আটিয়া ইউনিয়নে কৃষকরা পাট জাগ দেওয়া নিয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন।
জমি থেকে অনেক দূরে বহন করে নিয়ে পাট জাগে ফেলতে হচ্ছে বলে কৃষকদের পাট উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। কৃষকরা ভালোভাবে পাট ঘরে তুলতে পারলে এবার উপজেলায় ৮৬ হাজার মণ পাট উৎপাদন হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
এএ