ঢাকার পাসপোর্ট অধিদফতরের সার্ভার জটিলতার কারণে বেশ কিছুসংখ্যক পাসপোর্ট এখনও পাইপলাইনে আছে বলে জানিয়েছে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন।
হাইকমিশন জানায়, ঢাকা থেকে পুনরায় হাইকমিশনে পাসপোর্ট যাওয়া শুরু করবে। পাসপোর্ট হাইকমিশনে যাওয়া মাত্রই যথাযথ প্রক্রিয়ায় দ্রুত বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।
রোববার ( ২২ আগস্ট) কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
হাইকমিশন জানায়, লকডাউন চলাকালে মালয়েশিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী প্রবাসীদের মধ্যে সহজে পাসপোর্ট সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হাইকমিশন গত এপ্রিল মাস থেকে ৩৬টি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট বিতরণ করে আসছে।
গত ৬-৭ মাসে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে রেকর্ড সংখ্যক দুই লাখেরও বেশি পাসপোর্ট প্রবাসীদের হাতে পৌঁছানো হয়েছে। যার বৃহৎ একটি অংশ ডাকযোগে বিতরণ করা হয়েছে। কোনো ঝামেলা ছাড়াই প্রবাসীরা পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারছেন।
অ্যাপয়েন্টমেন্টের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে তার পছন্দ মোতাবেক নিকটস্থ পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাসপোর্ট হাতে পাচ্ছেন। এতে একদিকে যেমন প্রবাসীদের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে অন্যদিকে করোনার ঝুঁকি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারছেন। মালয়েশিয়াব্যাপী দীর্ঘমেয়াদী চলমান লকডাউনের মধ্যেও পাসপোর্ট দেওয়ারে প্রক্রিয়া চালু রাখা সম্ভব হয়েছে।
হাইকমিশন আরও জানায়, হাইকমিশনের ডাকযোগে পাসপোর্ট সেবার বিস্তৃতি ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে হাইকমিশনের হাতে থাকা প্রায় সকল পাসপোর্ট ইতোমধ্যে বিতরণ করা সম্পন্ন হয়েছে। তবে ঢাকার পাসপোর্ট অধিদফতরের সার্ভার জটিলতার কারণে বেশ কিছুসংখ্যক পাসপোর্ট এখনও পাইপলাইনে আছে।
এ জটিলতা ইতোমধ্যে দূর হয়েছে বলে ঢাকা থেকে মিডিয়ার মাধ্যমে সবাইকে জানানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে যে, খুব সহসাই ঢাকা থেকে পুনরায় হাইকমিশনে পাসপোর্ট আসা শুরু হবে। বাকি পাসপোর্টগুলোও হাইকমিশনে আসা মাত্রই যথাযথ প্রক্রিয়ায় অতি দ্রুত বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।
হাইকমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, মালয়েশিয়া সরকার অনিয়মিত কর্মীদের নিয়মিতকরণ সংক্রান্ত রেক্যালিব্রেশন কর্মসূচির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করেছে।
সানবিডি/এন/আই