করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাইরে যেতে না পেরে স্কুলগামী শিশু-কিশোররা। দিনের বেশিরভাগ সময়ই মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকছে। কেউ কেউ কিছুক্ষণ অনলাইন ক্লাসে থাকলেও বেশিরভাগ সময়ই খেলছে মোবাইল ফোনে গেম। এ গেম এক ধরনের আশক্তিরও কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
শিশুদের অনলাইন ভিডিও গেম খেলাকে আরও কঠোর করল চীন। ১৮ বছরেরও কম বয়সি চীনা শিশু-কিশোরদের অনলাইন গেমিংয়ের সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। এখন থেকে তারা সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ও অন্য ছুটির দিনে ১ ঘণ্টার বেশি গেম খেলতে পারবে না। আর এ গেম খেলার নির্ধারিত সময় হচ্ছে রাত ৮টা থেকে ৯টা। দেশটির গেম নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ শিশু-কিশোরদের গেমিং নিয়ন্ত্রণে গেমিং প্রতিষ্ঠানগুলোকেও যথাযথ নির্দেশনা দিয়েছে।
নির্ধারিত সময়ের বাইরে যেন তারা গেম খেলতে না পারে, সে ব্যাপারে গেমিং প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়সীমা নিশ্চিত করতে অনলাইন গেমিং প্রতিষ্ঠানের তদারকি কার্যক্রমও বাড়বে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
২০১৯ সালে নতুন নিয়ম করে শিশুদের গেম খেলার সময়ে বেশ বড় পরিবর্তন এনেছিল চীন। সেই সময় প্রতিদিন গড়ে মাত্র দেড় ঘণ্টা গেম খেলার সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। চলতি মাসের প্রথম দিকে, টেনসেন্টকে গেম খেলার সেই সময় আরও কমিয়ে আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, শিশুরা সাপ্তাহিক ছুটির আগের রাত ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনার অব কিংস মোবাইল গেম খেলতে সর্বমোট ৩ ঘণ্টা সময় পাবে। চলতি মাসের শুরুতে চীনা রাষ্ট্রীয় মিডিয়া অনলাইন গেমকে ‘অধ্যাত্মিক আফিম’ হিসাবে সাব্যস্ত করে সতর্ক করেছে।
সানবিডি/ এন/আই