উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি হচ্ছে। শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) জেলার চারটি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল আরও নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এসব ইউনিয়নগুলোর প্রায় ১০ হাজার মানুষ। তাদের কেউ কেউ উঁচু জায়গা ও আবার কেউ কেউ পাউবোর বাধে আশ্রয় নিয়েছেন।
অপরদিকে বন্যা কবলিত এসব এলাকায় ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় রান্না করে খাবার অবস্থা নেই। সেখানে শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধপানির তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে তিস্তা ও করতোয়া নদীর পানি বাড়েনি। শুক্রবার বিকেল তিনটায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ফুলছড়ি উপজেলার বালাসি পয়েন্টে বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘটের পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ এলাকায় বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন বলেন, গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের খারজানিরচর ও গিদারি ইউনিয়নে ৩শ পরিবারের মাঝে ২০ কেজি করে চাল এবং ১শ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া বন্যাকবলিত মানুষের জন্য ৮০ মেট্রিকটন চাল ও ৩ লাখ টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এএ