পুঁজিবাজারের ২০ হাজার সূচক উঠবে বলে মনে করেন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক রকিবুর রহমান। একই সাথে আগামী বছর ৫ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হবে বলেও মনে করেন তিনি।
শনিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) ডিএসইর নতুন ট্রেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। আর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএসইর চেয়ারম্যান মো: ইউনুসুর রহমান।
রকিবুর রহমান, যোগ্য কমিশনের নের্তৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে পুঁজিবাজার। পুঁজিবাজারের সূচকও বাড়বে। ২০ হাজারে একদিন উঠবে সূচক। ভারতের পুঁজিবাজারের সূচক ৫৪ হাজার। তো সূচক কোন ব্যাপার না। শেয়ারের দাম বাড়লে, সূচক বাড়বে।
তিনি বলেন, আমি শতভাগ বিশ্বাস করি ,বাজার টিকবে। কারণ ট্রেডিং মার্কেট খারাপ হয় না। তবে কারেকশন হয়। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ৫০ টাকার শেয়ার যখন ১০০ টাকায় উঠে, সেটি ৮০ টাকায় নামতে পারে। তবে সেটি ৫০ টাকায় নামবে না।
মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশে আমি বেহুশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো অনেক ভালো লভ্যাংশ দিচ্ছে। এই খাতটি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। পৃথিবীর সবদেশে মিউচ্যুয়াল ফান্ড বাজারকে স্থিতিশীল করে। দেশে সেই মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণা দেখে আমি নিজেই অবাক হয়ে গেছি। এটা অবিশ্বাস্য (আনবিলিভঅ্যাবল)।
তিনি বলেন, বর্তমান কমিশন পুঁজিবাজারকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরছেন। তারা এরইমধ্যে দুবাই ও আমেরিকা রোড শো করেছেন। এরমধ্যে আমেরিকায় বাংলাদেশ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে বলে জেনেছি। মৌলিক শেয়ারের বিনিয়োগ শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই বাজার পড়বে না। দর কারেকশন হবে।
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলের, তারা ১০ লাখ টাকা এনে খেলাধুলা শুরু করে দেয়। এ করতে গিয়ে কোনদিক দিয়ে সেই টাকা চলে যায়, পরে চিল্লাচিল্লি করে।
পুঁজিবাজারের সব খবর পেতে জয়েন করুন
Sunbd News–ক্যাপিটাল নিউজ–ক্যাপিটাল ভিউজ–স্টক নিউজ–শেয়ারবাজারের খবরা-খবর
তবে এই বাজারে হাজারো বিনিয়োগকারী আছে বলে জানান তিনি। এখানে শুধু ছোট বা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী না, আমরাও আছি। আরও বড় বিনিয়োগকারী আছে। তারা কিন্তু আবেগ দিয়ে চলে না। তাদের লস নাই। তারা বিনিয়োগ করে।
এর আগে পুঁজিবাজারকে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তিন দফায় ৫৫ ব্রোকার হাউজের অনুমোদন দিয়েছে। অনুমোদন পাওয়া ৫২ ব্রোকারকে শেয়ার কেনা-বেচার করার জন্য আজ অনুমোদনের সনদ হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর মধ্যে প্রথম ধাপে ১৯মে অনুমোদন পাওয়া ৩০টি ট্রেক হলো- কবির সিকিউরিটিজ,মোনার্ক হোল্ডিংস, সোহেল সিকিউরিটিজ,যমুনা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, আরএকে ক্যাপিটাল, স্নিকদা ইক্যুইটিস, ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ, সাউথ এশিয়া সিকিউরিটজ, ট্রিস্টার সিকিউরিটজ,৩আই সিকিউরিটজ, সোনালী সিকিউরিটজ,কেডিএস শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটজ,আল হারমাইন সিকিউরিটজ, মির সিকিউরিটজ,টি.কে. শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটজ, এসএফআইএল সিকিউরিটজ, তাসিয়া সিকিউরিটজ, ডেনিস্টি সিকিউরিটজ,এনআরবি ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এসবিএসি ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট, আমায়া সিকিউরিটজ, প্রোটেন্সিয়াল ক্যাপিটাল, তাকাফুল ইসলামি সিকিউরিটজ,বিএনবি সিকিউরিটজ, অগ্রনী ইন্স্যুরেন্স সিকিউরিটজ, মাহিদ সিকিউরিটজ,বারাকা সিকিউরিটজ,এএনসি সিকিউরিটজ,ক্লিসটাল সিকিউরিটজ এবং ট্রেড এক্স সিকিউরিটজ লিমিটেড ।
দ্বিতীয় ধাপে ২১ জুন অনুমোদন পাওয়া ১৬টি ট্রেক হলো: আমার সিকিউরিটিজ, বি রিচ লিমিটেড, কলোম্বিয়া শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, রহমান ইক্যইটি ম্যানেজমেন্ট, এমকেএম সিকিউরিটিজ, স্ম্যার্ট শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, বিনিময় সিকিউরিটিজ, রিলিফ এক্সচেঞ্জ, ইমপিরর সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট, এনওয়াই ট্রেডিং, বি অ্যান্ড বিএসএস ট্রেডিং, বেঙ্গ জিন (বিজি) জিইউ টেক্সটাইল, মিনহার সিকিউরিটিজ, বিপ্লব হোল্ডিংস, অ্যাসোসিয়েট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ।