মানিকগঞ্জে মেহেদি লাগিয়ে হাতে ফোসকা পড়ায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন এক নারী। তার অভিযোগের শুনানি শেষে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ‘স্মার্ট অ্যাকটিভ’ নামের ওই মেহেদি প্রস্ততকারক কোম্পানিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযোগকারী ওই নারী পেয়েছেন জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থ।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মানিকগঞ্জ জেলার সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট মানিকগঞ্জ শহরের তৃপ্তি প্লাজার একটি কসমেটিকস দোকান থেকে অনন্যা আলম নামের ওই নারী ৪০ টাকা দিয়ে ‘স্মার্ট অ্যাকটিভ’ মেহেদি কিনেছিলেন। কিন্তু এটি ব্যবহারের পরদিনই তার দু্ই হাত ফুলে যায় এবং ফোসকা পড়ে। এরপর তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নেন। পরে ৩১ আগস্ট জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ে এ ব্যাপারে তিনি একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ সেপ্টেম্বর সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল ‘স্মার্ট অ্যাকটিভ’ মেহেদির উৎপাদনকারী ও পরিবেশক তাসমিয়া কসমেটিকস অ্যান্ড টয়লেট্রিজ লিমিটিডের প্রতিনিধি ও অভিযোগকারীকে ডেকে প্রথম দফায় শুনানি করেন।
পরে ভোক্তা অধিকারের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের নির্দেশে উৎপাদকারী প্রতিষ্ঠানকে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় শুনানির জন্য ডাকা হয়। শুনানিতে অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনার জন্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। একইসঙ্গে ভুক্তভোগীর চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে সম্মত হয় প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু মেহেদির মোড়কে পণ্যের উৎপাদন এবং ব্যবহারবিধির উল্লেখ না থাকায় প্রতিষ্ঠানটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ী জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থ অভিযোগকারী পান।
অভিযোগকারী অনন্যা আলম মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফের কাছ থেকে তার প্রাপ্ত অর্থ গ্রহণ করেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মানিকগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল জানান, ক্ষতিকারক এসব মেহেদি কিনতে সতর্ক হতে হবে এবং ব্যবহারবিধি মেনে চলতে হবে। পণ্য বা সেবা ক্রয়ে প্রতারিত হলে প্রমাণসহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়েরের আহ্বান জানান তিনি।
এএ