জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭০তম অধিবেশনে যোগদান শেষে ঢাকা ফিরে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা “দুই বিদেশী নাগরিক হত্যায় বিএনপি-জামায়াতের হাত রয়েছে” মর্মে যে বক্তব্য দিয়েছে তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান।
রোবরাব গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতি তিনি এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘দুই বিদেশী নাগরিক হত্যায় বিএনপি-জামায়াতের হাত রয়েছে’ মর্মে প্রধানমন্ত্রী যে অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশানে ইতালীয় নাগরিক হত্যার পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন পর্যন্ত কাউকে সনাক্ত করতে পারেনি। তাদের উচিত ছিল বিদেশী নাগরিকদের নিরাপত্তা আরো জোরদার করা। অথচ লোক দেখানো কিছু তৎপরতা গ্রহণ করা ছাড়া কার্যত: কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। ফলে মাত্র ৫ দিনের মাথায় আবার জাপানি এক নাগরিককে হত্যা করা হলো।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, খুনি চিহ্নিত হওয়ার আগেই স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যখন এ হত্যাকাণ্ড বিএনপি-জামায়াতের হাত রয়েছে মর্মে বক্তব্য দেন। তখন কি প্রকৃত খুনিদের চিহ্নিত করা আদৌ সম্ভব? দেশবাসী আশা করেছিল নিরপেক্ষ তদন্ত করে সরকার দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবে। কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে জাতি হতাশ হয়েছে।
তিনি বিবৃতিতে বলেন, ইতালীয় নাগরিক নিহত হওয়ার পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত খুনিদের চিহ্নিত করার দাবি জানানো হয়েছিল। বিদেশী নাগরিকদের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব পালনে সরকারের নজিরবিহীন ব্যর্থতা ঢাকা দেবার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী এ হত্যাকাণ্ড বিএনপি-জামায়াতের হাত রয়েছে বলে বক্তব্য দিচ্ছেন। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
বিবৃতিতে বলা হয়, দেশবাসী আশা করে অযথা কাদা ছোড়াছুড়ি না করে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে খুনিদের চিহ্নিত করে তাদেরকে শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। আমরা এখনও আশা করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ ও জাতির স্বার্থে কারো ওপর অযথা দোষ না চাপিয়ে নিরপেক্ষ এবং অর্থবহ তদন্তের মাধ্যমে খুনিদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবেন।”