প্রকৃত আসামি শনাক্ত করতে দেশের সব কারাগার ও থানায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কারা কর্তৃপক্ষকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির রায়ের বিষয়টি জানিয়েছেন।

এই বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান-এর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। একইসংগে নাশকতার মামলায় ভুল আসামি জহির উদ্দিন-এর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত।

রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

রায়ের বিষয়ে শিশির মনির জানান, আদালত পর্যবেক্ষণসহ রুলের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করেছেন। আবেদনকারী জহির উদ্দিন-এর বিরুদ্ধে জারি করা পরোয়ানা অবৈধ এবং আইন-বহির্ভূত হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

পর্যবেক্ষণে আদালত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তিনটি নির্দেশনা দিয়েছেন

১. বিদ্যমান ব্যবস্থার সংগে সব থানায় আসামির হাতের আঙুল ও তালুর ছাপ, চোখের মণি, বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুকরণ।

২. গ্রেফতারের পর আসামির সম্পূর্ণ মুখের ছবি (Mugshot photographs) ধারণ ও কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে (integrated) সংরক্ষণ।

৩. দেশের সব কারাগারে আঙুল ও হাতের তালুর ছাপ, চোখের মণির সংরক্ষণের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণ সিস্টেম চালুকরণ।

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর খিলগাঁও থানার এক মামলায় প্রকৃত আসামি নোয়াখালীর মোদাচ্ছের আনছারী ওরফে মোহাদ্দেস-এর পরিবর্তে মো. জহির উদ্দিনকে আসামি করার বিষয়ে এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ এই আদেশ দেওয়া হয়।

এএ