উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোতে অনুষ্ঠিত পার্লামেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টি (পিজেডি) পরাজিত হয়েছে। এর আগে বুধবার মরক্কোর পার্লামেন্টের ৩৯৫ আসনে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, নির্বাচনে মাত্র ১২টি আসনে জয় লাভ করেছে পিজেডি। এর আগের পার্লামেন্টে ইসলামপন্থী দলটির ১২৫টি আসন ছিলো।
এর বিপরীতে উদার ধারার ন্যাশনাল র্যালি অব ইন্ডিপেনডেন্টস (এনআরআই) ৯৭টি, অথেনটিসিটি অ্যান্ড মর্ডানিটি পার্টি (পিএএম) ৮২টি ও মধ্য-ডানপন্থী ইসতিকলাল পার্টি (পিআই) ৭৮টি আসন লাভ করে।
বুধবারের নির্বাচনে ৫০ ভাগের বেশি ভোটার ভোট দেয়, যা ২০১৬ সালের তুলনায় বেশি।
মরক্কোতে নির্বাচনের নতুন আইন দেশটির বৃহৎ দলগুলোর জন্য প্রতিযোগিতা কঠিন করে তুলেছিলো। কয়েকজন বিশ্লেষক মন্তব্য করেছিলেন, এর ফলে গত দুই পার্লামেন্টের মেয়াদে সর্বোচ্চ আসনধারী পিজেডি পরাজিত হতে পারে।
মরক্কোতে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত, যেখানে বাদশাহ বিস্তৃত ক্ষমতার অধিকারী। রাষ্ট্রীয় বিষয়ে বাদশাহর মতামতই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়।
সাধারণ নির্বাচনে জয়ী দল থেকেই মরক্কোর বাদশাহ প্রধানমন্ত্রীকে নিযুক্ত করেন।
নির্বাচনের নতুন আইন ও আসন বন্টনকে পিজেডি নেতারা তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ওপর হুমকি হিসেবে বিবেচনা করছিলেন।
বুধবার এক বিবৃতিতে দলটি অভিযোগ করে, প্রতিদন্দ্বীরা ভোট কেনাসহ বিভিন্ন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছে।
২০১১ সালে আরব বসন্তের প্রভাবে মরক্কোতেও বিবিধ দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে সাধারণ মানুষ। ওই সময় বাদশাহ ষষ্ঠ মোহাম্মদ শাসনতান্ত্রিক সংস্কারের এবং শাসনক্ষেত্রে জনগণের আরো সম্পৃক্ততার আশ্বাস দেন। পরে ওই বছরের অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পিজেডি জয়লাভ করে।
সূত্র : আলজাজিরা
এএ