উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরও স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসির সদস্য হিসেবে যে বাণিজ্য সুবিধা পাওয়া যায়, তা আরও ১২ বছর যেন চালু থাকে, সে চেষ্টা করছে সরকার।
রোববার ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মিজ রেনজি টেরিংকের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে হয় এই আলোচনা। এ সময় বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) হাফিজুর রহমানসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কমকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর রপ্তানি বাণিজ্যে সুবিধা আদায় ও নেগোসিয়েশনের ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশও চায় ইইউর সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক। বাংলাদেশ আশা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের পক্ষে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় রপ্তানির বাজার। তারা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে বাণিজ্য সুবিধা দিয়ে আসছে। এজন্য বাংলাদেশ ইইউর কাছে কৃতজ্ঞ। ২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে প্রদত্ত বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখবে বলে আশা করছি।’
বাংলাদেশে চার বছর দায়িত্ব পালনে সন্তোষ জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত রেনজি টেরিংক বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি চমৎকার ও সম্ভাবনাময় দেশ। আগামী দিনেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের পাশে থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার। এলডিসি উত্তরণ পরবর্তীতেও বাংলাদেশকে দেয়া ইইউর বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত থাকবে।’
এএ